২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অ ভি ম ত : পেনশন পুনঃস্থাপন পর্যালোচনা

-

সমাজের প্রতিটি স্তরে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে, সামাজিক কল্যাণার্থে গৃহীত সেবাধর্মী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ, বিধিবিধান প্রণয়ন ও কার্যকর করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সম্পদ বণ্টনের মাধ্যমে নি¤œ আয়ের উপার্জনহীনদের জীবনে যাতে এর কিছুটা প্রতিফলন ঘটেÑ তারা তা প্রত্যাশা করছে।
প্রত্যাশা পূরণে সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহীত আগের নীতিগুলো প্রয়োজনে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে সময়োপযোগী, কল্যাণমুখী এবং সেবাধর্মী করার নীতি বাস্তবায়নে মনোযোগ দিয়েছে।
সম্প্রতি সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণে, আবাসন সঙ্কট দূরীকরণে স্বল্প সুদে সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য বর্ধিত অঙ্কের গৃহনির্মাণ ঋণের গ্রেড-ভিত্তিক সুবিধা, বিনা সুদে গাড়িঋণ, এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের আর্থিক সুবিধা এবং কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে সুদ মওকুফ নীতিমালার আওতায় সুদ-আসল মওকুফের বিধান প্রচলন ছাড়াও কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুজনিত আর্থিক সুবিধা মঞ্জুরির বিধান রেখে নীতিমালা কার্যকর করছে।
১৯৯৪ সাল থেকে পুরো পেনশন সমর্পণের নিয়ম ছিল। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই শতভাগ পেনশন সমর্পণ করে আর্থিক নিরাপত্তা হারিয়েছেন। সরকার ১ জুলাই ২০১৭ থেকে ওই বিধান রহিত করে পেনশন অর্ধেক সমর্পণ করার বিধান চালু করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সংগঠনগুলোর আবেদন, গণমাধ্যমের ভূমিকা, সর্বোপরি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের যুক্তিযুক্ত উপস্থাপনায় ও অর্থমন্ত্রীর উপলব্ধি ও মানবিক সুপারিশ, তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর একান্ত মানবিক বিবেচনা আর সামাজিক সুরক্ষার তাগিদে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের অবসরের ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপনের বিধান কার্যকর হয়েছে।
অন্যান্য কর্মচারী ও পেনশনারের মতো ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট সরকার মঞ্জুর করেছে। পেনশনারদের মতো পুরো পেনশন সমর্পণকারীদের আর্থিক সুবিধাগুলোর মধ্যে বৈশাখীভাতা, চিকিৎসাভাতা এবং দুই ঈদে দুটো উৎসবভাতা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের বেতন স্কেলের তুলনায় ২০০৯, ২০০৫ সালের ও আগের বেতন স্কেলগুলোতে প্রতিটি গ্রেডের সাথে বেতনের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে, যা সময়োপযোগী করে পেনশন প্রাপ্যতায় সমতা আনা এবং পেনশনারদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয় বিবেচনায় রেখে যুক্তিযুক্তভাবে চিকিৎসা ভাতাবৃদ্ধি করা দরকার।
সরকার পুরো পেনশন সমর্পণকারীদের পেনশনে পুনঃস্থাপনের বিষয়ে সামাজিক সুরক্ষা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং মানবিক দিক বিবেচনা করেছে। অবসরের পর নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে, অর্থাৎ ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ক্ষেত্রে গড় আয়ু ও আয় বিবেচনা এবং একই কারণে পেনশন পুনঃস্থাপন করে আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদেরও বেঁচে থাকার লক্ষ্যে আর্থিক সক্ষমতা ও প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করার অনুকূল ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন প্রত্যাশীরা।
লেখক : সাবেক নির্বাহী, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
ই-মেইল : qsstechno@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন’ অভিযোগ মোদির, এফআইআর সিপিএমের প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৪ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

সকল