২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঐক্যফ্রন্ট : অনেক চ্যালেঞ্জ

দেখা অদেখা
-

নির্বাচন নিয়ে জাতীয় রাজনীতি এখন তুঙ্গে। এই নির্বাচনী তরঙ্গ শুধু রাজধানী ও বড় শহরকেন্দ্রিকই নয়। সব জাতীয় পত্রিকার যেসব প্রতিনিধি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন তাদের পাঠানো প্রতিবেদন খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের সব জায়গায় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচার কাজে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নির্বাচনে বরাবরই দেখা গেছে দেশের মানুষ ব্যাপক হারে প্রচারকাজে অংশ নিয়ে এলাকায় একটা উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করে। গানে, বাদ্য বাজনায় মুখর করে তোলা হয় পরিবেশ। এতসব উদ্যোগ আয়োজনের পরও এখনো কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা সংশয় প্রকাশ করছেন আগামীতে যথাসময়ে নির্বাচন হবে কিনা? হলেও তা অংশগ্রহণমূলক হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। এই দুই আশঙ্কাকে যদি বিবেচনায় নেয়া যায় তবে আগামী দিনে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই।
দেশের রাজনীতিতে ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু হওয়াটা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এখন এই নতুন জোটকে সরকারি মহল থেকে নানা ভাষায় তীব্র আক্রমণ করা হচ্ছে। যুক্তফ্রন্টের ঐক্যকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে যে ভাব, ভাষায়ই আক্রমণ করা হোক না কেন তাদের আবির্ভাব যে সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিশেষ করে জনগণ এই ঐক্যকে যে সাদরে গ্রহণ করেছে তাই বোধ করি ক্ষমতাসীনদের উৎকণ্ঠার বড় কারণ। তবে ঐক্যফ্রন্টের যে সাত দফা দাবি পেশ করা হয়েছে অবাধ নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। এই সাত দফা দাবির অন্যতম হচ্ছে, নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্ধীর মুক্তি। ঐক্যফ্রন্টের এই সাত দফা দাবি প্রকৃতপক্ষে এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া এসব দাবি অনেক আগে থেকেই তোলা হয়েছে। এসব দাবির সাথে দেশের মানুষ পরিচিত। কেননা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব বিষয় আলোচনা হচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকে।
ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে তর্ক চলে না। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে যদি দেখা হয় তবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে এসব দাবি মেনে নেয়া অপরিহার্য। সাত দফার অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনের আগে সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া। বিগত যেসব নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে হয়েছে, তার সব ক’টি সরকার নিজের প্রার্থীদের পক্ষপাতিত্ব এবং অনিয়ম করেছে। এই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে অতীতে রাজনৈতিক মহল থেকে এমনকি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং এর অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ওঠে। জাতীয় সংসদে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এ দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের মুখে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজিত হয়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যতগুলো সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তার একটি নিয়েও কোনো প্রশ্ন বা অভিযোগ ওঠেনি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বিধান সংবিধানে নেই, তাই আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না। আওয়ামী লীগই নির্বাচনের সময় সরকারে থাকবে। এ দিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্তমান সংবিধানের আওতায়ই নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে। রাজনৈতিক মহল থেকে ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল তার উদাহরণ টেনে বলা হচ্ছে, সে সময় রাজনৈতিক দলগুলোর বৃহত্তর ঐকমত্য ও সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা হয়েছিল। এবারো সবাই চাইছে তেমন এক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ জন্য প্রয়োজন হলে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া যেতে পারে। আসলে এ দাবি উঠেছে একটি মহৎ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের, মানুষ নিজের ভোট তার পছন্দমতো প্রার্থীকে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে। এ দাবিটি এ জন্য যে, একাদশ সংসদ নির্বাচন সফল ও স্বার্থ হোক।
দশম সংসদ নির্বাচন দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্য হয়নি তাই আর যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়। এমন প্রশ্নযুক্ত নির্বাচনে গঠিত সরকারকে কেউ আপন করে নিতে পারে না। আর ক্ষমতা চর্চার ক্ষেত্রে তেমন সরকার তৃপ্তি বোধ করার সুযোগ থাকে না। আর তাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও আসে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভিন্ন দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও অস্থিতিশীল দেশের ভাবমর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুণœ হয়। রাজনীতিকেরা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্যই মূলত রাজনীতিতে আসেন।
জাতীয় রাজনীতিতে ঐক্যফ্রন্টের আবির্ভাব দেশের মানুষকে বিপুলভাবে আশান্বিত করেছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন এর আগে লক্ষ করা গেছে, ঐক্যফ্রন্ট তাকে আরো বেগবান করবে বলে আশা করা যায়। ঐক্যফ্রন্ট আবির্ভাবকালে যে অঙ্গীকার তারা জাতির কাছে করেছে, তাতে ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইতে পারে বলে প্রত্যয় জন্মেছে। এসব শুভবার্তার পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের সূচনায় এই আন্দোলন থেকে পিছু হটে গেছে বিকল্পধারা। সূচনায় বিকল্পধারার এমন সিদ্ধান্ত যুক্তফ্রন্টের ‘সূচনায় নাস্তি’ না বললেও অবশ্যই তা দুঃখজনক। অনেকেই মনে করেন এটি ঘটানো হয়েছে লক্ষ্য ঐক্যফ্রন্টের শুভযাত্রায় বিঘœ ঘটানোর জন্য। এরপর আবার ২০ দলে দল ছুটের ঘটনা ঘটে। তাকেও কেউ সহজ ও স্বাভাবিক বলে গ্রহণ করছে না। ঐক্যফ্রন্ট যে ক্ষমতাসীনদের জন্য অস্বস্তি এনেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যে ভাষায় ঐক্যফ্রন্ট এবং তাদের নেতাদের অহরহ আক্রমণ করা হচ্ছে তা থেকে বোঝা যায় তারা ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে তাদের জন্য বড় বাধা হিসেবে ধরে নিয়েছে। আশঙ্কা হয় সামনে ঐক্যফ্রন্টের আরো অনেক বাধা আসবে। ধৈর্য ও কৌশলের মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টকে তা মোকাবেলা করতে হবে। আরো অনেক চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য রয়েছে। দেশের অনেক কিছু ঘাটতি রয়েছে, শুধু গণতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র না থাকলে এর অনেক নেতিবাচক প্রক্রিয়া হতে পারে। সুশাসন, আইনের শাসন, মানবাধিকার জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা এখন নেই। এসব কায়েমের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে ঐক্যফ্রন্টকে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার যে দাবি ঐক্যফ্রন্টের সাত দফায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেÑ সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর সমান অবস্থান নিশ্চিত করা এবং এমপি হিসেবে বাড়তি সুযোগ রহিত করা তথা নির্বাচনে সবাই যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সুবিধা পায়। ২০১৪ সালে দশম সংসদের যে নির্বাচন হয়েছিল সে সময় সবাই যাতে সম অবস্থানে থেকে ভোট করতে পারে সে দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ সে নির্বানে অংশ নেয়নি। এবারো সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি পূরণ না হলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। ঐক্যফ্রন্টে নেই এমন আরো অনেক দলও নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার পক্ষে সোচ্চার। এই দাবিটি পূরণ হলে ঐক্যফ্রন্ট ও অন্যান্য দল যে নির্বাচনে বাড়তি কোনো সুবিধা পাবে এমন নয়। এটা বরং নির্বাচনে সবাই সম-অবস্থানে থেকে ভোট করার যে মৌলিক চেতনা তা পূর্ণ হওয়া, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে সার্বজনীন দাবি তা পূর্ণ হবে। নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত হোক এমন আশঙ্কা তো সবারই থাকা উচিত।
সাত দফায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। অসুস্থ জননেত্রী দীর্ঘ দিন কারারুদ্ধ হয়ে আছেন। তার মুক্তির দাবিটি মানবিক। অথচ নানা ছুতা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অকারণ মামলা করে তাকে আটক রাখা হয়েছে। সরকারের উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তির বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা। অভিযোগ রয়েছে, তার জামিনের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন নানা ছলছুতা করছে। এটি অতীতে দেখা গেছে, একটি সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলজুলুম দেয়া হয়। এসব মামলা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে থাকে। এখন যেমন বিএনপির নেত্রীসহ অন্যান্য দলের বহু নেতার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। তার অনেকগুলো বানোয়াট এবং ‘গায়েবি’ মামলা। প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক তৎপরতায় বাধা দেয়ার জন্যই প্রকৃতপক্ষে এসব মামলা করা হয়েছে। এই প্রতিহিংসার রাজনীতির যে ধারা দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসছে তা রাজনীতিতে মানুষের চরিত্র হননের কাজ হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা যদি চলতে থাকে তবে দেশের রাজনীতিতে সৎ যোগ্য ও নিষ্ঠাবান মানুষের আগমন ঘটবে না। যার মারাত্মক ঘাটতি রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন রয়েছে। সৎ যোগ্য মানুষ তখনই রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে, যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হবে যে, পরস্পর শ্রদ্ধা সমীহ কল্যাণ বিরাজ করবে। কাদা ছোড়াছুড়ি চরিত্র হননের বক্তব্য আসবে না। এখন সংসদে এবং সংসদের বাইরে যে ধরনের আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায় তা নিছক গালমন্দ। বুদ্ধি ও মেধার চর্চা পরিলক্ষিত হয় না। অথচ সংসদ সদস্যদের জনগণ ভোট দিয়ে পাঠায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের যেসব ভুল ত্রুটি হয় তা দূর করার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা পরামর্শ দেয়ার জন্য। একটি স্বচ্ছ ও গতিশীল প্রশাসন গড়তে সাহায্য করাই সংসদ সদস্যদের অন্যতম দায়িত্ব। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে সজ্জন রাজনীতিতে বেশি করে আসবে।
নির্বাচনে সরকারের ভূমিকা গৌণ হয়ে যেতে পারে যদি নির্বাচন কমিশন সংবিধানে প্রদত্ত তার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দৃঢ়তা এবং যোগ্যতার সাথে পালন করে। এ জন্য কমিশনের সব সদস্য ঐক্যবদ্ধ সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা চর্চা করে প্রশ্নমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে সক্ষমতা দেখাতে পারেন। এ দিকে নির্বাচনের আর বেশি সময় বাকি নেই। কিন্তু কমিশনের সদস্যদের মধ্যে আগে যে মতপার্থক্য লক্ষ করা গিয়েছিল তা এখন মতবিরোধের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি কমিশনের সব সদস্যের এক বৈঠক থেকে জনৈক কমিশনার তাকে মতপ্রকাশের সুযোগ না দেয়ায় তিনি আপত্তি জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। পরে সেই কমিশনার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি, সংলাপের আয়োজন নিয়ে আলোচনা, সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, সেনা মোতায়েনের আগে তাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করার বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েও সুযোগ পাননি। যে কমিশনার তার বক্তব্য দিতে না পেরে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন, এটি প্রকৃতপক্ষে কমিশনের ভেতরে যে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই তার পরিচায়ক। যে প্রতিষ্ঠানটি দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে নিযুক্ত, সেখানে গণতন্ত্র চর্চার ব্যাপারে বাধাপ্রাপ্ত হওয়াটা খুবই দুঃখজনক। কমিশনারদের এমন আচরণ দেশবাসীকে আহত করেছে। যে কমিশনার কথা বলতে না পেরে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তিনি যা সেখানে বলতে চেয়েছিলেন তা মূলত সুষ্ঠুভাবে যাতে নির্বাচন হতে পারে তার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। একটি সফল নির্বাচনের জন্য এসব বিষয় তো অপরিহার্য। এই বক্তব্যের সাথে যদি দ্বিমত করা এবং মতবিরোধ সৃষ্টি হয় তবে এই কমিশনের কাছ থেকে ভালো নির্বাচন আশা করা তো যথার্থ হবে না। এর আগে একটি দাবি ছিল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের, এখন তার যৌক্তিকতাই প্রমাণিত হচ্ছে। নির্বাচনের আগে কমিশন ইতিবাচক চিন্তা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এটি সব মহলের কাম্য। আগামী নির্বাচন যদি ভালোভাবে না হতে পারে তাতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা সব কিছু নাড়িয়ে দেবে। নির্বাচন কমিশন তার দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারবে না। হ
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement