১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্মরণ : প্রফেসর মফিজউদ্দীন আহমেদ

-

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মফিজউদ্দীন আহমেদ ১৯২১ সালে টাঙ্গাইল জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ ও ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নশাস্ত্রে যথাক্রমে বিএসসি অনার্স এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভ করেন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমানে জহুরুল হক হল) প্রভোস্ট, ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী-সংক্রান্ত বিষয়ে (তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে) প্রথম উপদেষ্টা এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ছিলেন। প্রফেসর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্যরূপে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। বহু দিন ধরে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন আমৃত্যু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখেন। তিনি মাতৃভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক পাঠ্যপ্স্তুক রচনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তার গবেষণামূলক বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ দেশী-বিদেশী জার্নাল ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
১৯৬৯ সালে পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য, ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। ড. আহমেদ ১৯৮৭ সালে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের নেতৃত্ব দিয়ে শিক্ষাপদ্ধতির সংস্কারের জন্য সুপারিশ পেশ করেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির সহযোগী সাধারণ সম্পাদক এবং পাকিস্তান বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি, ভারতীয় রসায়ন সমিতি, আমেরিকান রসায়ন সমিতির ফেলো, আমেরিকান বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষ ও সহসভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনিই।
অবসর গ্রহণের পর ১৯৮৪ সালে তাকে প্রফেসর এমিরিটাস পদে নিয়োগ করা হয়। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৬ সালে সরকার কর্তৃক তমঘা-ই-পাকিস্তান খেতাব, ১৯৮৬ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

সকল