২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়বেন না

দেখা অদেখা
-

কথায় আছে ‘ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়বেন না’। অর্থাৎ আগের কাজটি আগেই করতে হবে। কিন্তু দেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগের কাজটি ফেলে রেখে এখন পরের কাজটি করতে প্রস্তুতি নিয়েছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে শরিক হওয়ার বিষয়ে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তি না করেই ইসি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক শক্তি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু দাবি-দাওয়া পেশ করেছে। এসব দাবি পূরণ না হলে তারা নির্বাচন বর্জন করতে পারে। এস দাবি পূরণের ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি ইসিরও বড় ভূমিকা আছে। যেখানে অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে সন্দেহ, সেখানে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে ইসির তাড়াহুড়ো করা কতটা সমীচীন। ইসির এমন তৎপরতা থেকে এটা ধারণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তেমন গা করছে না। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচনের নামে কোনো রকম একটা নাটক সাজিয়ে ফেলতে পারলেই যেন দায় সারতে পারেন।
নির্বাচন কমিশনের অতীতে এমন উদাহরণ রয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরিতে বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনায় বসেছে। এবার অতীতের চেয়ে নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য বিস্তর হওয়া সত্ত্বেও ইসি আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছে না। বিরোধী দলগুলোর যে দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার নিষ্পত্তির ব্যাপারে সরকারেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো কথাই বলছে না। তাই আগামী নির্বাচন নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এমনটা হয়তো সরকার ভাবছে যে, ২০১৪ সালে নির্বাচন করে তারা সহজেই পাঁচ বছর বিনা বাধায় কাটিয়ে দিয়েছে। এবারো তেমন হলে ভাবনার কী আছে। এ কথা হয়তো বলা যায়, গত পাঁচ বছর সরকার দাপটের সাথেই ছিল। এতে তাদের হয়তো কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের আকাক্সা অপূর্ণ থেকে গেছে। গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। যারা দেশের স্থপতি তারাও দেশের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনাসহ তার অধীনে নির্বাচন করে যাত্রা শুরু করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই সুন্দর অভিযাত্রা বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। প্রথম যাত্রায় সেই যে বিপত্তি তা থেকে দেশ আজো সরে আসতে পারেনি।
এদিকে এই পরিস্থিতি কোনো পরিবর্তন না হওয়া সত্ত্বেও পত্রপত্রিকার খবরে প্রকাশÑ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের পাশাপাশি ভোটার তালিকার কাজ প্রায় শেষ। এখন তা ছাপানোর কাজ শুরু করা হবে। দেশব্যাপী ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে এবার ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ভোটকক্ষ থাকবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী এনে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিশন এবার ১০ কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভোটার তালিকাভুক্ত করেছে। দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে এক কোটি ২৪ লাখের বেশি। এত সব আয়োজন শেষ করলেও কমিশন যাদের জন্য এত আয়োজন করেছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একটিবার কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেনি। এটা আসলে অবাক হওয়ার মতো বিষয়। গণতন্ত্রের প্রাণ নির্বাচন যারা পরিচালনা করবেন তাদের এমন আচরণ ঠিক নয়।
বাংলাদেশের সংবিধান বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু ইসি তাদের দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে তাদের যোগ্যতা ও পারঙ্গমতা প্রদর্শনে সফল হয়নি। অতীতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে ইসির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা হয়েছে। সে সব নির্বাচনে ইসি পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য রুখতে পারেনি, কারচুপি-অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি। এরপর ইসির প্রধান নির্বাহী স্বীকার করেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে কিছু অনিয়ম কারচুপি হবেই। এমন অনিয়ম ত্রুটি-বিচ্যুতির কাছে ইসির প্রধান নির্বাহীর এই আত্মসমর্পণের পর ইসির প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন কি আশা করতে পারে? তাই এসব প্রশ্নে কোনো বিহিত হওয়ার আগেই একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেয়া ইসির জন্য ঠিক নয়। ২০১৪ সালের সেই তথাকথিত নির্বাচনের মতো আরো একটি নির্বাচন ইসি করুক তা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হবে না। তা ছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে এই ইসির কর্মকর্তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না বলে উল্লেখ করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান ইসি পুনর্গঠনের প্রশ্নটি এখন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সমাধান হওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন।
নির্বাচন পরিচালনার কাজে ইসির নিজস্ব লোকবলের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তাই ইসিকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারের দ্বারস্থ হতে হয়। সরকার জেলা এবং উপজেলাপর্যায়ে প্রশাসনের আমলাদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইসির কাছে সোপর্দ করে। এসব আমলা ইসির অধীনে নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত হলেও সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য ষোলআনাই থেকে যায়। তারা কাজ করার সময় তাদের সেই আনুগত্যকে ভুলতে পারেন না। তাই তারা নির্বাচনের সময় সরকারের অঙ্গুলি হেলনের প্রতি নজর রাখেন এবং সেভাবেই দায়িত্ব পালন করেন। ফলে সরকারি দলের প্রার্থীরা এসব আমলাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা আর থাকে না। যদি এমন আচরণের জন্য ইসি অনিয়মে জড়িত আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সাংবিধানিক এখতিয়ার রাখেন, অথচ অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে আমলাদের অনিয়মে জড়িত থাকার বহু উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই এবার নির্বাচনের আগে এগুলো পর্যালোচনা দরকার এবং এর বিহিত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এমন অনিয়মের সুরাহার জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে তার স্থায়ী জনশক্তি সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে ইসির ভাবা উচিত।
এখন অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংসদ ভেঙে দেয়ার জোর দাবি উঠেছে। কেননা সংসদ ভেঙে না দিলে এর সদস্যরা ক্ষমতায় থেকে প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনে কলকাঠি নাড়বে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি হবে। সবাই যদি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় তবে সরকারের পক্ষে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি মেনে নিতে সমস্যাটা কোথায়। ক্ষমতাসীনেরা প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন এবং জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। এমন আশ্বাস আসার পর সমস্যাটা আর কোথায় থাকে। ১৯৯১ সালে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে যে নির্বাচনগুলো নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত সে নির্বাচন তেমন একটি ছিল। ভালো মানের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান দেশের সব মহলের ঐকান্তিক ইচ্ছা। তার প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত।
নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার বা ভোটদানে ইভিএম পদ্ধতির প্রবর্তন করা বা হঠাৎ করে চাপিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে ইসির উৎসাহের কারণ বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু পূর্বে কখনোই ইসির এমন অভিপ্রায় লক্ষ করা যায়নি। পূর্বে এ নিয়ে কথা হলে বলা হয়েছে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন ইভিএম নিয়ে ইসির উৎসাহের বিষয়টি লক্ষণীয়। ইসির মতো সরকারও আগে এ নিয়ে নীরব ছিল, এখন ইসি সরব হয়েছে আর সরকারেরও মৌন সম্মতিও বোঝা গেছে। ইসি কমিশনারদের যে বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়, সেখানে একজন কমিশনার এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত প্রকাশ করে বলেছেন, এতে নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত হবে না। একই সাথে সংসদের বাইরে সব বিরোধী দল ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়ার বিরোধিতা করেছে। তারা মনে করে, এতে করে অনিয়ম কারচুপির ঘটনা ঘটবে।
পৃথিবীর বহু গণতান্ত্রিক দেশে ইভিমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয় না। এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ত্রুটি দেখা দেয়ায় তা পরিত্যক্ত হয়। ইভিএম চালুর পূর্বে বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থাটা উপলব্ধি করা উচিত। বাংলাদেশের খুব সামান্য সংখ্যক মানুষের ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে। তাই নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে ভোট দেয়া নিয়ে। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইসির সক্ষমতা নিয়ে মানুষের আস্থা নেই, ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার সিদ্ধান্ত হলে এই অনাস্থা আরো বাড়বে। তাই এখন এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ভাবনা থেকে বিরত থাকা উচিত, যা নির্বাচনকে প্রশ্নযুক্ত করবে। কেননা তাতে দেশে অশান্তি আরো বাড়বে, শান্তি ফিরবে না।
২০১৪ সালে সব দলের বর্জনের মুখে দশম সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের কারণ ছিল, সে সময় নির্বাচন বর্জনকারী দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায়নি। তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিল। অতীতে যতবার ক্ষমতাসীনদের দলের অধীনে নির্বাচন হয়েছে সেসব ভোট নিয়ে সব সময় কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা ঘটে। আর এই কারণেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই ব্যবস্থা রহিত করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজিত হওয়াটা দেশে নির্বাচনের ধারায় জনগণের ভোট প্রদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়। এখন ক্ষমতাসীনদের ছাড়া অন্য প্রায় সব রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া অন্যরা ভোটে অংশ নেবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি দলের একক মনোভাবের কারণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। ইসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেটা ঠিক হবে না। কেননা ২০১৪ সালের নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন দ্বিতীয়বারের মতো যদি একদলীয় ভোট হয়। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মারাত্মক অনিশ্চয়তা ঘটতে পারে। তাই দেশের স্বার্থে সবার নিজেদের ুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে ভোটদানের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সব নির্বাচন ভোটে মাস্তানি, পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য, ভোটকেন্দ্র দখল করে জালভোট দেয়ার ঘটনা হামেশা ঘটেছে। ভোটের দিনে যেসব বাহিনীকে শৃঙ্খলা বিধানের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে তারা এসব অনিয়ম রুখতে পারেনি। ফলে নির্বাচনে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটে না। ইসির এসবের প্রতিবিধান করতে হবে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে ভোটদানের পরিবেশ অনুকূল রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভোট কেন্দ্রে মাস্তানরা নানা কাণ্ড বাঁধিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে ভীতি সৃষ্টির ফলে তারা ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে যায়। এসব বাস্তব পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সরকারি দল ছাড়া আর সব দল নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ভোট কেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু ইসি ও সরকার এ বিষয়ে সম্মত হয়নি। তাই অবাক হওয়ার ব্যাপার হচ্ছে নির্বাচন ভালোভাবে অনুষ্ঠানের জন্য যত প্রস্তাবই আসে, তাতে ইসি সম্মত হয় না। যাদের দায়িত্ব সাংবিধানিক সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, তাদের এমন ভূমিকা কাক্সিত নয়।
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় যেসব বিধিবিধান রয়েছে তা তারা অহরহ লঙ্ঘন করছে। কিন্তু ইসি তা তেমন আমলে নেয় না। ফলে তারা প্রচার কাজে বেপরোয়া হয়ে ওঠে, যা নির্বাচনী আইনের চরম বরখেলাপ। এভাবে বিধিবিধান লঙ্ঘিত হলে বিরোধী দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আর থাকে না। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে লক্ষ করা গেছে, প্রার্থীরা নানাভাবে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে থাকেন। বিশেষ করে সরকারি দলের প্রার্থীরা তাদের পেছনে শক্তির উৎস থাকায় তারা কোনো তোয়াক্কা করেন না। এটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বড় ধরনে অনিয়ম। এসব সমস্যা তথা নির্বাচনী বিধিবিধানের ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। যে আইনের অধীনে নির্বাচন হবে তাতে দুর্বলতা থাকলে ভালো নির্বাচনের আশা করা যায় না। হ
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement