২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দখল আর নাব্য সঙ্কটে মরতে বসেছে নরসুন্দা

-

নদীই জীবন। নদী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। প্রকৃতি-প্রতিবেশ রক্ষা পাবে। কিশোরগঞ্জের মূল নদী নরসুন্দা। কিশোরগঞ্জজুড়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে রয়েছে এই নরসুন্দা। নদীটি পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে ধনু নদীতে গিয়ে মিশেছে। দখল ও ভরাটে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের নরসুন্দা এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। নদীটির বুকে কোথাও অবৈধ স্থাপনা, কোথাও চাষাবাদ, কোথাও পলি পড়ে ভরাট হয়ে সামান্য পানিও নেই।
তথ্য মতে, ২০১২ সালে নরসুন্দা নদী পুনঃখনন, শোভাবর্ধন ও পুনর্বাসনে ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছেÑখননের পরও নাব্যতা ফিরে পায়নি কিশোরগঞ্জের প্রাণ নরসুন্দা। খননের পরও নদীটি আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনি আছে! পানির প্রবাহ সেই আগের মতোই। নদীটির করিমগঞ্জ, হোসেনপুর ও চামড়াঘাট অংশে পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। এই অংশটির শুকিয়ে যাওয়ার সুবাদে স্থানীয় লোকজন চাষাবাদসহ পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। এ ছাড়া, পাগলা মসজিদ, বত্রিশ, পুরান থানা, মনিপুরী, একরামপুর, বড়বাজার, চর শোলাকিয়া, শ্মশানঘাট এলাকায় নদীটির বেশির ভাগ প্রভাবশালীদের দখলে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নদী দখলদারদের উচ্ছেদ করার কয়েক দিনের মধ্যেই তা ফের দখল হয়ে যায়।
নরসুন্দা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর দুই পাড়ে সংযোগ সড়কের ফলে ভরাট ও প্রভাবশালীদের নদী দখল ত্বরান্বিত করা হয়েছে! নদী মরে যাওয়ার ক্ষতি অপূরণীয়। এখনই যদি নদীটি রক্ষা করা না যায় তাহলে কিশোরগঞ্জের প্রাণ নরসুন্দা নদী হারিয়ে যেতে পারে। নদীটির নাব্যতা সঙ্কট দূর করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে দুই পাড়ের দখল বন্ধ করতে হবে। দখলকারীদের উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় সম্পদ নদী তথা প্রকৃতিকে যতœ করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। তাহলেই না, তার থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব। নদী প্রাকৃতিক সম্পদ। নদীর সাথে নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, যাতায়াত, সেচব্যবস্থা ইত্যাদি জড়িত। তাই নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হ
sadonsarker2005@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement