খালেদার পরিণতি কী হবে?
পর্যালোচনা- মিনা ফারাহ
- ২১ জুন ২০১৮, ০০:০০
জিয়ার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের ঢল। হাইকমান্ড না হয় ভাবমর্যাদা উজ্জ্বলের ব্যবসা খুলে বসেছেন; কিন্তু লাখ লাখ নেতাকর্মী থাকতে, রাস্তায় না নেমে ঘরে বসে কী সুখ বিএনপি জোটের? অভিযোগ-অনুরোধ করেই খালেদাকে মুক্ত করতে চায়? পারলে করুক। তবে ২০১৮-এর নির্বাচনও ৫ জানুয়ারির মতোই হবে। তবে সেটা হলে, তিন মাসও টিকবে না এর ফলাফল। সমস্যা একটাই। ‘খালেদার বিদায়ের সাথে সাথে সেই সম্ভাবনারও মৃত্যু হবে এবং সেটাই নিশ্চিত করতে চায় অবৈধরা।’ ভারতে যাক আর চুলায় যাক, আমার প্রশ্ন, বিএনপি তাহলে কিসের স্বপ্ন দেখছে?
একটি পরিপূর্ণ মানচিত্র আঁকা যাক।
ফারমার্স ব্যাংককে ৭২৩ কোটি টাকার ঋণখেলাপি থেকে আইনের অব্যাহতি (৩০ এপ্রিল, যুগান্তর)। ইয়াবা সম্রাটকে নিরাপদে দেশ ছাড়তে দেয়া। এরপরও যারা ভয়ানক অসুস্থ খালেদার জীবন গুলাগেই কাটবে কিনা, প্রশ্ন তোলেন, প্রত্যেকের উচিত মাথার চিকিৎসা করানো।
হ্যাঁ। অপজিশনের বিরুদ্ধে গুলাগ খুলে মতায় আছে অবৈধরা। গুলাগের সংপ্তি পরিচিতি। এটা স্বৈরাচারশ্রেষ্ঠ লেনিনের প্রতিষ্ঠা করা নির্যাতন এবং হত্যাকেন্দ্রের নাম। পরে স্টালিন, হিটলার, পুতিন, জিনপিং, কিম জংয়ের মতো স্বৈরশাসকেরা মূলত পলিটিক্যাল অপজিশনদের নির্যাতন ও হত্যা করতে গুলাগে নিয়ে গেছে। একবার ঢুকলে আর কখনোই বের হওয়া যায় না। ৯ বছর ধরেই গুলাগের অহরহ প্রমাণ মিডিয়ায়। পশ্চিমের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হাতে সেগুলো পৌঁছেছে; কিন্তু তার পরও বিষয়টি আমলে নেয়ার বদলে উপো করেছে জাতিসঙ্ঘসহ সব মানবাধিকার সংস্থা। এত প্রমাণ যে, মনে হতেই পারে, যেন আমরাও স্টালিনের যুগে প্রবেশ করেছি।
একটি পত্রিকা লিখেছে, ‘খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র চলছে।’ প্রবাসের বাংলা পত্রিকাগুলোতে মৃত্যুর খবর অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে কেন? এগুলো কি মানসিকভাবে প্রস্তুত করার কৌশল? হতেও পারে। কারণ, ৯ বছর ধরেই প্রবাসীদের বেশির ভাগ গুজবমিডিয়ার কবলে। গণতান্ত্রিক দেশে থাকি বলেই সব খবরকে গুরুত্ব দেই। ফেইক নিউজের পেছনেও উদ্দেশ্য থাকে। হিটলার এবং গুজবমন্ত্রীর বিখ্যাত উক্তি, যথেষ্ট মিথ্যা বারবারই বলতে থাকলে, সেটাই সত্য বলে বিশ্বাস করা হবে।
অনেকেই বলবেন, খালেদাকে নিয়ে আমার এত মাথাব্যথার কারণ! কেন নয়? নিজেও নারী। তাই নারী উন্নয়নের নামে একজন অসুস্থ, বয়স্ক, স্বজনহারা নারীর ওপর যে পরিমাণ নির্যাতন হয়েছে, এরপর শত্র“ও চুপ থাকতে পারে না। ৩৭ বছর ধরে সর্বোচ্চ গণতন্ত্রের দেশে বাস করে শিখেছি, গণতান্ত্রিক অধিকারহীন জীবনের চেয়ে মৃত্যুই উত্তম। পশুর মতো বাঁচতে চাইলে, সেই অধিকারও ব্যক্তির আছে। তবে আজ অবধি খালেদাই একমাত্র পরীতি নেতা যিনি, ঘটি-বাটি-উন্নয়ন-লোটাকম্বল কোনোটাই নয়। একমাত্র ভোটের মাধ্যমেই গণতন্ত্রের চর্চা করেছেন। সুতরাং তাকে বাঁচাতে না পারলে, গণতন্ত্র দেখতে মিউজিয়ামে যেতে হবে।
জিয়া পরিবার ধোয়া তুলসীপাতা নয়। তবে খালেদা জিয়াই কিন্তু ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে, নিজে মতা হারালেন। চতুর্থ সংশোধনীর কারণে বিলুপ্ত দলটিকে আবারো রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন খালেদার দলটির ফাউন্ডার। প্রথম থেকেই ব্যক্তি বিশেষের প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে একবারো অ্যাকশনে যাননি। দেশের স্বার্থ বিক্রি করে মতায় যাওয়ার প্রমাণ আজ অবধি কেউ দিতে পারেনি। সবচেয়ে বড় কথা, হুমকির মুখেও কখনোই বিদেশে চলে যাননি এবং এ কারণেই তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ বলা যায়।
অন্য দিকে আইয়ুব খানের সমপরিমাণ মতায় থাকা এরশাদের সাথে বহু আগে থেকেই যুক্ত হাইকমান্ড। এখন যেন নাড়িভুঁড়ির ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের আশ্রয় ছাড়া সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নাড়ি কেটে দিলেই মতার সর্বনাশ হবে। প্রশ্ন, ’৭২-এর সংবিধান বিলুপ্ত করে বাকশালী সংবিধান এনেছিল কারা? ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন করে একপ, কিন্তু বাকশালের নাম উচ্চারণ করতে ভয় পায় অন্যপ। ৬০০ পৃষ্ঠার রায় লিখতে ছয় দিন আর ছয় পৃষ্ঠার রায় লিখতে তিন মাস। একটি প্রশ্নেরও উত্তর দেয়ার সাহস নেই।
আজকের প্রসঙ্গ, মিডিয়ায় খালেদাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র। ১/১১-এর স্বৈরাশাসকেরাও মানবিক আচরণ দেখিয়েছেন। ঘোড়ার আস্তাবলের বদলে দু’জনকেই সাবজেলে ভিআইপি ব্যবস্থায় রেখেছেন। চাইলে আরো মন্দ অবস্থায় রাখতে পারতেন (এখন যেখানে খালেদা)। সবার উপরে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, বীরউত্তমের স্ত্রী! নারী উন্নয়নের নামে কত পুরস্কার আনা হলো। অথচ একজন নারীকেই যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, এরপর সব গোমর ফাঁস। নারী উন্নয়নের ঢোলবাদকেরা কতটা লজ্জাহীন, সব বলে দিলেনÑ খালেদা।
২
কালের পঞ্জিকার এমন এক সন্ধিণে জন্মেছি, যখন অতি অল্প সময়ে অনেক কিছুই দেখে ফেলেছি। এই সুযোগ অন্য কোনো মিলেনিয়ামেই ঘটেনি। পশ্চিমাদের তাঁবেদার সাদ্দাম, গাদ্দাফি, হোসনি মোবারকের পতন দেখেছি। একটি আশ্রয়ের খোঁজে উড়োজাহাজে বসে থাকা ইরানের শাহের অসহায়ত্ব দেখেছি। মাইক্রোসফটের আইপিও দেখেছি। স্টিভ জবস, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গের উত্থান দেখেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ছিনিয়ে নিতে দেখেছি। মুক্তিযোদ্ধার পুরো পরিবারকে ধ্বংস করা দেখেছি। অপছন্দের মিডিয়াসহ বিএনপির জোটকে বিলুপ্ত করাও দেখেছি। কিন্তু যা কখনোই দেখিনি, মায়ের বয়সী একজন নারীকে এভাবে নির্যাতন করতে দেখেও গোটা জাতি চুপ থাকে! দলের নেতাকর্মীরাও এমন আচরণ করে, যা কাম্য নয়। দলের ব্যারিস্টারেরা সরকারি আমলার মতো কাজ করেন। আমি ট্রাম্পের বিতর্কিত নির্বাচন দেখেছি। ছয় ট্রিলিয়ন ডলারের ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধ দেখেছি। কিন্তু এমন একটি জাতি কখনোই দেখিনি, যারা গণতন্ত্রের নামে কার্যত ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে।
চিকিৎসা নিয়ে প্রশাসনের প্রতিটি বক্তব্য অসত্য বলতে হয়। যেসব হাসপাতালে খালেদা যেতে চান না, সেখানেই নিতে কেন মরিয়া। নিঃসন্দেহে এর পেছনে বিরাট কুমতলব। একবার পছন্দের হাসপাতালে নিতে পারলেই কর্মকাণ্ড ফাঁস। নিজ খরচে ইউনাইটেডে চিকিৎসা করানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন খালেদার ভাই। আশঙ্কা, এরপর ব্রেকিং নিউজের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সক্রেটিসরা বলবেন, হায়াত না থাকলে আমরা কী করব? এরপর হয়তো সবাই সবকিছু ভুলে যাবে।
৯ বছর ধরে একাই যা করেছেন, ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মিলে সেটা করতে পারেননি। বিডিআর হত্যাকাণ্ড রহস্যে ঢাকা রয়ে গেছে। মাঝখানে অগণিত লীলাখেলা। ৫ জানুয়ারির মতো অন্যায় করেও ৫ বছরই মতায়। সেখানেই শেষ নয়। সংসদ ভেঙে দিতে সর্বোচ্চ বিচারপতির রায় আসার সাথে সাথে তাকেই দেশ ছাড়া হতে হলো। ধারাবাহিকভাবে মতায় রাখতে দেশ-বিদেশে ‘জিরো টলারেন্সের’ যুক্তি বেচাকেনা হচ্ছে। বোঝানো হয়েছে, তার হাতে গণতন্ত্রের লোটাকম্বল অুণœ আছে। প্রণবের পর বোলপুরে নির্বাচনের ফয়সালা শেষ করলেন মোদি। এরপরও খালেদার মতো নেত্রী বাড়তি ঝামেলা। আবারো শাহবাগে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা হয়তো আসর বসাবে।
৩
আরো খবর। ৮ জুন যুগান্তর, ‘খালেদা জিয়া মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন।’ ৩ সপ্তাহ ধরে ভীষণ জ্বরে ভুগছেন, যা কোনোক্রমেই থামছে না। চিকিৎসাবিদ্যায় যাকে বলা হয়, ‘ট্রানজিয়েন্ট স্ক্রিমিক অ্যাটাক।’
১২ জুন নয়া দিগন্তে ‘জীর্ণশীর্ণ খালেদা জিয়া’ লেখাটি পড়ার পর, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছি। খবরটি যারা পড়েননি, পড়া উচিত। ‘জীর্ণশীর্ণ খালেদা জিয়া, হাতের আঙুলগুলো কালো হয়ে গেছে, পায়ে পানি জমেছে, কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে ভালো নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী...।’ ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়ে কারা কর্তৃপকে একটি চার পাতার পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। দ্রুত এমআরআই করে, খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ব্রেইন কী পরিমাণ তিগ্রস্ত হয়েছে সেটি যেন দেখা হয়। এরপর তিন দিন অতিক্রান্ত হলেও তাকে কোনো হাসপাতালে নেয়া হয়নি পরীার জন্য...। ওজন কমে গেছে, বাম হাত উপরে তুলতে পারছেন না। আগে একটু হাঁটতে পারতেন, এখন তাও পারেন না। কথা বলার ভঙ্গি সহজ নয়, মুখে বাধে...। এমনিতেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। হাতের আঙুলগুলো কালো হয়ে গেছে, পা ফুলে গেছে, পায়ে এসেছে পানি। পায়ে চাপ দিলে আঙুল ভেতরে ডেবে যাচ্ছে। চোখে রয়েছে প্রচণ্ড ব্যথা। লাল হয়ে গেছে দুই চোখ। সুচিকিৎসা করা না হলে চোখ দু’টির স্থায়ী তি হতে পারে। ... বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেগম জিয়া পড়ে গিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্ঞান হারানোর লণ ভালো নয়, সামনে তার জন্য আরো বিপদ। ... যেখানে থাকতে দেয়া হয়েছে, ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করে। সারাণ স্যাঁতসেঁতে অবস্থা বিরাজ করছে। যে পরিবেশ তাতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া মশার আক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন যেকোনো সময়।
এই রিপোর্টে সব বলা হয়ে গেছে। তারা চাইছে, কালপেণ করে ব্যাধিগুলোকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে, যেখান থেকে বাঁচানো অসম্ভব। উপসর্গের উৎসগুলো ভয়ানক। হতে পারেÑ হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কলিজা, কিডনি, চোখ, মস্তিষ্ক... এক বা একাধিক একসাথে বা স্বতন্ত্রভাবে আক্রান্ত। বেঁচে থাকার জন্য যে অর্গানগুলো খুবই ভাইটাল, প্রায় সবই আক্রান্ত হওয়ার নমুনা। ডায়াবেটিস কী যা-তা? ‘পড়ে গিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট অজ্ঞান থাকার খবর পর্যন্ত গোপন করায় মোটিভ আরো স্পষ্ট হয়েছে।’ এমআরআই না করে গুলাগেই রেখে দেয়া হয়েছে। মিডিয়ায় ফাঁস না হওয়া পর্যন্ত চকলেট খাওয়ানোর কথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
এতবড় একটি দল অথচ ভয়াবহ মোটিভ আমলে নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু করার মতো একজনকেও দেখলাম না। জাতিসঙ্ঘ থেকে ঢাকা, প্রতিটি মানবাধিকার সংস্থাই চুপ। এরাই আবার মানবাধিকার ভঙ্গের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। বেশির ভাগই পুঁজিবাদীদের খয়ের খাঁ। ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতেরাও খালেদার প্রতি সহানুভূতি-সম্পন্ন নন বলেই বোঝা যাচ্ছে।
৪
ডায়াবেটিস থেকে অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা। পায়ে পানি এসেছে, কিন্তু কেন? চিকিৎসাশাস্ত্রে এটা ‘ইডিমা।’ এর মানে, অর্গান ফেইলিউর হওয়ার আশঙ্কা। হাতের আঙুলগুলো কালো হওয়ার কারণ হয়তো, ডায়াবেটিক গ্যাংগ্রিন। সেটা হলে, পচন রোগ হাড়ের ভেতরে পৌঁছায়। প্রচণ্ড ব্যথা হয়। দ্রুত নিয়ন্ত্রণ না করলে হাড় কেটে ফেলতে হয়। ডায়াবেটিক গ্যাংগ্রিন কোনো তামাশা নয়। এরপর ফাঙ্গাস পড়ে। ভেতরের টিস্যুগুলো মরে পচে যায়। চামড়ার তলে পানি আসে। সেখান থেকে ফোঁড়ার মতো ফুটে বের হয় পুঁজ-রক্ত-পোকা। এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে ছড়ায় ব্যাধি। সেখান থেকে কিডনি ফেইলিউর, ফুসফুসে পানি, শ্বাসকষ্ট... সবকিছুরই আলামত। তার পরও চিকিৎসা নিয়ে প্রশাসনের ‘বিশ্বকাপ খেলা’?
এ অবস্থা অনেকেরই মা-দাদীর বেলায় ঘটেছে বলেই জানেন, টয়লেট করা কতটা দুরূহ। তার উপরে ভয়ানক মানসিক চাপে বিধ্বস্ত। এক পুত্রকে সপরিবারে নির্বাসনে রেখে মানসিক চাপে নিঃশেষ। আরেক পুত্রকে সপরিবারে নির্বাসনে। স্বামী নিহত হলেন। বিধবা এবং নিঃসঙ্গ। ‘একা ফাতেমা কত করবে?’ ন্যূনতম মনুষ্যত্ব থাকলে, কারোই চুপ থাকা উচিত নয়।
হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনগুলো বছরের পর বছর দুর্বৃত্তদের দখলে থাকার অভিযোগ মিডিয়ায়। অবৈধ মন্ত্রীর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামাই নাকি দুই বছর একটি ভিআইপি কেবিন দখলে রেখেছিলেন। আদালত বন্দীর শারীরিক অবস্থা আমলে নেয়। না নিলে কানের চিকিৎসা করতে আমেরিকা যেতে পারতেন না।
৫
একটি অভাবনীয় উদাহরণ। দেশী এক ভিভিআইপির সারা বছরই চোখের সমস্যা। কিন্তু দেশের চিকিৎসার ওপর বিশ্বাস নেই। অথচ এই দেশে স্বনামধন্য বহু চু বিশেষজ্ঞের কাছে লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা নেয়। বছরে দুইবার গরিবের লাখ লাখ ডলার ধ্বংস করে লটবহরসহ পাল্টাপাল্টি লন্ডন এবং সিঙ্গাপুরে যান কিনা, মিডিয়াই বলবে। চোখ এবং চেকআপের জন্য যিনি সুস্থ থেকেও প্রয়োজনের বেশি সচেতন, সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা মানুষটির সুচিকিৎসা নিয়ে প্রশাসনের বদহজমের অভিযোগ তাকেই করছি। ভিভিআইপির মতো লন্ডন ও সিঙ্গাপুর নয়। খালেদা জিয়া চাইছেন, দেশেই পছন্দের হাসপাতালে যেতে। এতে সমস্যা কোথায়?
নিউইয়র্ক ভিত্তিক পত্রিকার চাঞ্চল্যকর খবর, ‘অদম্য সরকার, অনুকম্পা নয়, আধিপত্য বিস্তারে অনড়।’ সক্রেটিসদের বক্তব্যের সাথে যা হুবহু। ‘যত দিন উনি জীবিত থাকবেন, তত দিন আওয়ামী লীগ মতায়।’
ই-মেইল : farahmina@gmail.com
ফেসবুক : minafarahfacebook
ওয়েবসাইট : www.minafarah.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা