১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্মরণ : সাংবাদিক সাহিত্যিক সানাউল্লাহ নূরী

-

আজ ১৫ জুন। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানাউল্লাহ নূরীর মৃত্যুবার্ষিকী। জন্ম ১৯২৮ সালের ২৮ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর ফলকন গ্রামে। বাড়ির কাছের অ্যাংলো-অ্যারাবিক মাদরাসা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর নিউ স্কিম মাদরাসায় ভর্তি হন। পরে তিনি নেত্রকোনা শহরের আঞ্জুমান হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। ভাষা আন্দোলন ও তমদ্দুন মজলিসের কাজে জড়িয়ে পড়ায় লেখাপড়ায় ছেদ পড়ে। পরে বিএ পাস করেন।
সানাউল্লাহ নূরী ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়েই ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘লুসি গ্রে’ এবং কিটসের ‘ফায়ারিং সং’ কবিতা অনুবাদ করেন। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় আন্ধার মানিকের রাজকন্যা উপন্যাস লিখেছেন। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে অর্ধসাপ্তাহিক ‘ইনসান’ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হওয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতার জগতে পা রাখেন। ১৯৪৮ সালে দৈনিক আজাদ-এর বার্তা বিভাগে যোগদান করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময় তমদ্দুন মজলিসের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক, মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক মিল্লাত, মাহে নও, মাসিক সওগাত ও দৈনিক নাজাতে কাজ করেছেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সিলভার বার্ড নামে মার্কিন প্রকাশনা সংস্থার ঢাকা শাখার পাঠ্যপুস্তক বিভাগের খণ্ডকালীন সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশনের ঢাকা শাখার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তানের জন্মলগ্নে তিনি এর সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৭৯ পর্যন্ত এ পদে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ দৈনিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ দৈনিক জনতার সম্পাদক এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত দৈনিক দিনকালের সম্পাদক ছিলেন। সানাউল্লাহ নূরী ছিলেন নিরলস, দক্ষ ও নির্ভীক কলমসৈনিক। চল্লিশের দশক থেকে শুরু করে আমৃত্যু সাহিত্য ও সাংবাদিকতার জগতে কাজ করেছেন। তার লিখিত গ্রন্থগুলো দেশের সুধী মহলে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।
সানাউল্লাহ নূরী ছিলেন একাধারে সম্পাদক, ঔপন্যাসিক, কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, ইতিহাসবিদ, সংগঠক, কলামিস্ট। ১৯৮৮ সালে তিনি ‘বাংলাদেশ কাউন্সিল অব এডিটরস’ গঠন করেন। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের সভাপতি ছিলেন ১৯৭৭ থেকে আমৃত্যু। তিনি বিভিন্ন সময় ৬০টির মতো দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৮২ সালে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তাকে একুশে পদক দেয়া হয়। ২০০১ সালের ১৫ জুন ইন্তেকাল করেন। হ


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, বেড়েছে মেয়াদ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূস কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রমিজ খানের ইন্তেকাল দরিদ্রতম দেশগুলোর উন্নয়ন ঐতিহাসিক মাত্রায় বিপরীতমুখী : বিশ্ব ব্যাংক ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫ দেশকে অপশাসন মুক্ত করতে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে : ড. রেজাউল করিম ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে : ইসরাইলের সেনা প্রধান সাভারে দর্জির দোকানে এসি বিস্ফোরণ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ইরান-ইসরাইলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মোড়, এখন যা হবে

সকল