১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এরশাদের আদর্শ বাস্তবায়নে ব্যারিস্টার দিলারা গড়ছেন জাতীয় পল্লী পার্টি

দিলারা খন্দকার শিল্পী
দিলারা খন্দকার শিল্পী - ছবি : নয়া দিগন্ত

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী। এরপর এরশাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে পর্যায়ক্রমে তাকে করা হয় জাপার যুগ্ম মহাসচিব, জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং সর্বোচ্চ ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য। দ্বাদশ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসন (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন ব্যারিস্টার দিলারা।

এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি এখন তার ভাই গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের হাতে। দিলারা বাদ পড়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে। এমন কী তাকে দলীয় কোনো পদেই রাখা হয়নি। এ নিয়ে শুরু থেকেই জি এম কাদেরের ওপর ক্ষুব্ধ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরশাদ ঘনিষ্ঠ জাপার সাবেক এই প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্ষোভ ঝেড়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এখন তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার সাবেক দল জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের ‘পল্লীবন্ধু’ উপাধী থেকে দিলারা খন্দকার শিল্পী তার রাজনৈতিক দলের নাম ঠিক করেছেন ‘জাতীয় পল্লী পার্টি-জেপিপি’।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার বর্তমানে গাইবান্ধায় অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার মোবাইলে তিনি নতুন দলগঠনের কথা জানিয়ে বলেন তিনি এ নিয়ে গত বুধবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আদ্যপান্ত নিয়ে নয়া দিগন্তের সাথে কথা বলেছেন জাপার সাবেক এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। 

২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার অ্যাট ল’ পাস করা দিলারার সাথে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাথে পরিচয় ব্যারিস্টার রফিক উল হকের চেম্বারে। গাইবান্ধার মেয়ে জানতে পেরে এরশাদ খুব খুশি হন এবং আমাকে তার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হতে বলেন। বলা চলে তার চাপাচাপিতেই ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত হই। এরপর ২০১২ সালে পার্টির যুগ্ম মহাসচিব, ২০১৬ সালে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং একই বছর পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাকে মহাজোটের প্রার্থী করা হলেও এরশাদের নির্দেশেই আবার নির্বাচন থেকে সরে যাই। এরশাদের মৃত্যুর পর জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কাছে কোনো মূল্য পাইনি।

ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার বলেন, এরশাদের স্মৃতি ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি নতুন ফ্ল্যাটফরমে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্যই নতুন রাজনৈতিক দল করার ঘোষণা দিয়েছি। এরশাদের আদর্শকে সামনে রেখেই দলের নাম ঠিক করেছি ‘জাতীয় পল্লী পার্টি-জেপিপি’। ফেসবুকে নতুন পার্টি করার ঘোষণার পর সারা দেশ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দেশে এত প্রতিষ্ঠিত দল থাকতে জনগণ আপনার নতুন দলকে কেন গ্রহণ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার বলেন, জেপিপির কর্মকাণ্ড হবে সাধারণ মানুষের জন্য। দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য আমরা কাজ করব। মাদকমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করব।


আরো সংবাদ



premium cement