২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তাবিথের ওপর হামলা : প্রশ্ন তুললেন তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ - সংগৃহীত

গাবতলীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি বিএনপির 'নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার অংশ' কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নবনির্বাচিত পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সকালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাবতলীতে বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলা হয়েছে। তাবিথ অভিযোগ করেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বিষয়টি আমি আপনার কাছেই জানলাম। কারণ আমি এতক্ষণ একনেক মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টা পুরোপুরিভাবে না জেনে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। দ্বিতীয়ত, আমি মনে করি নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করার জন্য একটি পক্ষ সক্রিয়। এটি সে পক্ষেরই কারসাজি কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিএনপি'র প্রথম থেকে প্রচেষ্টা হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। সুতরাং নানা ধরনের ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া সেটি তার অংশ কিনা এটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে, তবে সেটি বিএনপি'র পক্ষে, আমাদের বিপক্ষে।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে মন্ত্রীরা প্রটোকল বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। আর সংসদ সদস্যরা তো পারেনই। সংসদীয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার যুক্তরাজ্যেও (মন্ত্রীরা) এটি পারেন। অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও এটি পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা পারছি না। এটি বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থা করে দিয়েছে। তাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা তাদের পক্ষে চলে গেছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদকসহ কয়েকজনের হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয়, দেশের আইন এবং আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে।

চট্টগ্রামে ৩২ বছর পর শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সেদিনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। কারণ, সেদিন অনেক লাশ গুম করে ফেলা হয়েছিল। অনেকগুলো লাশ গুম করে ফেলার কারণে হিসেবটা কমে আসছে।

৩২ বছর পর এ হত্যা মামলার রায় শেষ হওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই গণহত্যা চালানোর জন্য ঢাকা থেকে যারা নির্দেশ দিয়েছিল তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

একই সাথে সিপিবির সমাবেশে হামলা মামলার রায়েও সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই হামলাগুলো পরিচালিত হয়েছিল। যারাই হামলাগুলো পরিচালিত করেছিল তাদের উত্তরসূরিরা কিন্তু এখনো সক্রিয়। এজন্য আমাদেরকে এখনো সতর্ক থাকতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য

সকল