১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকার ক্ষমতা দখল করে টিকে আছে : মির্জা ফখরুল

সরকার ক্ষমতা দখল করে টিকে আছে : মির্জা ফখরুল - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনভিত্তি নেই। তারা জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে আছে। সোমবার শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পুস্পমাল্য অপর্নের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমনের সাথে সাথে বাংলাদেশে দুর্নীতির যে অবস্থা তা সর্বগ্রাসী চেহারা নিয়েছে। দুর্নীতি শুধুমাত্র আর্থিক দুর্নীতি হয় না, সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি সবচাইতে বড় দুর্নীতির মধ্যে একটি। আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি শুরু হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগনের রুখে দাড়ানো দরকার। দুর্নীতির বিষয়ে জনগন সচেতন হয়ে উঠছেন, প্রতিবাদ করছেন। সকল ধরনের দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করবার জন্য জনগন আজকে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আর্থিক দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পড়েছে যে, সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধবংস করে ফেলা হয়েছে। এখানে একটি-দুইটি নয়, শেয়ার বাজার, ব্যাংক কেলেঙ্কারী, বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি-এই বিষয়গুলো এমন একটা জায়াগায় পৌঁছেছে যে, এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় শূণ্যের কোঠায় পৌঁছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযানের নাম করে শুধুমাত্র ছোট-খাটো যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যারা বড় রুই-কাতলা, যারা সমস্ত সমাজকে গ্রাস করছে তাদের সম্পর্কে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, আজকে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধবংস করে দিয়ে বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।

বিএনপি এখন আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যর্থ হয়ে বিদেশীদের কাছে নালিশ করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এসব পুরনো কথা। এর গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই কথাগুলো বলা ছাড়া তাদের তো কোনো উপায় নেই। তাদের জনগনের কাছে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। তারা জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এসব কথা না বললে তো তারা মিডিয়াতেও টিকে থাকতে পারবে না একটু চটকদার কথা-বার্তা বলে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উচিত এখন জনগনের কাছে যাওয়া। এতো যদি তারা মনে করে যে, তারা জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তাহলে এই নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই তো ব্যবস্থা হয়ে যায়। প্রমাণ হয়ে যাবে জনগনের কাছে এবং জনগনও একটি সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার পাবে।

পুস্পমাল্য অর্পনের এই অনুষ্ঠানে জাসাসের মনিরুজ্জামান মনির, ইথুন বাবু, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম রিপনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৩ নভেম্বর অধ্যাপক মামুন আহমেদ ও চিত্র নায়ক হেলাল খানের নেতৃত্বে ১৮৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।


আরো সংবাদ



premium cement