অধ্যাপক অজয় রায়ের পরলোকগমন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:১২, আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:০৪
অধ্যাপক অজয় রায় (৮৪) আর নেই। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পরলোকগমন করেন তিনি। অজয় রায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক।
অজয় রায়ের ছোট ছেলে অনুজিৎ রায় সোমবার বারডেম হাসপাতালে গণমাধ্যমকে বলেন, নিজের মৃতদেহ দান করে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল বাবার (অধ্যাপক অজয় রায়)। মৃত্যুর আগে অনেকবার সে কথা আমাদের জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা বাবার দেহ বারডেম হাসপাতালে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অধ্যাপক অজয় রায়ের ছোট ছেলে আরও বলেন, গত ২৫ নভেম্বর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাবাকে বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, তবে পারিনি। এখন আমার বাবা প্রফেসর অজয় রায় তার কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন।
অধ্যাপক অজয় রায়ের আরেক ছেলে ব্লগার-লেখক অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উল্টো পাশে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।
ড. অজয় রায় ১৯৩৫ সালের ১ মার্চ দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক ও নাগরিক আন্দোলনের সামনের কাতারের মানুষ।
স্কুল ও কলেজজীবনে অজয় রায় পড়াশোনা করেছেন দিনাজপুরে। ১৯৫৭ সালে এমএসসি পাস করে যোগ দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। তিনি ১৯৫৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে সেখানেই করেন পোস্ট ডক্টরেট। ১৯৬৭ সালে শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করেন এবং অবসর নেয়ার আগপর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
দেশি–বিদেশি বহু জার্নালে অজয় রায়ের পেপার প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি পদে ছিলেন। তিনি সম্প্রীতি মঞ্চের সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এশিয়াটিক সোসাইটির বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক।
২০১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে একুশে পদক অর্জন করেন অজয় রায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা