২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার সন্ধ্যায় মিছিলটি রাজধনীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাউসারসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার পরও নির্যাতনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম জিয়াকে তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার জামিন থেকেই কেবল বঞ্চিত করছে না; বরং শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ একজন বয়স্ক নারীকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করছে। আমি বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানাই-এখন আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সকল বাধা উপেক্ষা করে এখন রাস্তায় নামতে হবে।

তিনি সরকার প্রধানের একরোখা বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই দিন আগের হিংসাত্মক বক্তব্যের উদ্দেশ্যই ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দিতে বিচার বিভাগ এবং বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করা। তবে আমাদের বিশ্বাস সরকারের সকল নজরদারী ও হুমকিকে উপেক্ষা করে সর্বোচ্চ আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

এখন দেশ চলছে এক ব্যক্তির ভয়ঙ্কর কর্তৃত্ববাদী শাসন, যেখানে দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিরোধী পক্ষকে বন্দী করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর সেই কারণেই বিরোধী দল ও মতের ওপর চলছে অবর্ণনীয় নানামুখী নির্যাতন। সরকারের চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণে এটি স্পষ্ট যে, বেগম জিয়ার কারামুক্তিতে এখন রাজপথই আমাদের একমাত্র সমাধান। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন- সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। সরকার যদি জনরোষ থেকে বাঁচতে চায় তাহলে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নইলে জনরোষের থাবা থেকে রেহাই পাবে না বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী। আমি আবরো অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। মিছিলে নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল