২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৫৬ হাজার বর্গমাইলে জিয়া পরিবার বিস্তৃত : গয়েশ্বর

-

৫৬ হাজার বর্গমাইলে জুড়ে জিয়া পরিবার বিস্তৃত উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র আর ষড়যন্ত্র একসাথে চলে না। গণতন্ত্র নাই সে কারণেই ষড়যন্ত্র।

তিনি বলেন, এই যে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র- তাহলে জিয়া পরিবারের সদস্য সংখ্যা কতজন? শুধু বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো আর তাদের সন্তানেরা- এই কজন নয়। জিয়া পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাংলাদেশের কম হলেও ১৬ কোটি। এই ১৬ কোটি মানুষ বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্রচার দল’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সদস্য রকিবুল ইসলাম রিপন, আমার হোসেন প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সুতরাং এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবার দায়িত্ববোধ জনগণের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, জনগণ অসংগঠিত, তাদেরকে এক বাক্যে এক লক্ষ্যে সংগঠিত করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের। সেই দায়িত্বটা যদি আমরা সঠিকভাবে পালন করি তাহলে একটি যৌক্তিক আন্দোলন হতে পারে। এই আন্দোলনটা হচ্ছে দেশের পক্ষে আন্দোলন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে আন্দোলন।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘গণতন্ত্রিক আন্দোলনটাই হচ্ছে যথার্থ। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ভাবে সফল হতে পারি খালেদা জিয়া বিনা প্রশ্নে চলে আসবেন তার বাড়িতে। তাকে আটকে রাখা তো দূরের কথা কত- তাড়াতাড়ি তাকে গাড়ি করে বাড়িতে পৌঁছে দিবেন সে জন্য ব্যস্ত হয়ে যাবেন তারা। সুতরাং মনে রাখতে হবে জনগণের দাবি সবসময় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদালতের রায়ে অর্জিত হয়নি। তখন কি আদালত বন্ধ ছিল? তাহলে দেশ স্বাধীন করল কারা? এদেশের আপামর জনতা।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি তিনি আর্মির একজন মধ্যম সারির অফিসার হয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডকে ইগুনোর করছেন। এমনকি তার সিনিয়র অফিসার কর্নেল জাফর আলী নিজ হাতে খুন করেছেন। তারপর তিনি বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ড হাতে নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন শুনতে হয়তো খুব সহজ মনে হচ্ছে; কিন্তু এটা ছোটখাটো কাজ না।’


আরো সংবাদ



premium cement