২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে জবাব দিতে হবে : মঈন খান

-

পেঁয়াজ, লবণ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কেনো বেড়েছে তার জবাবদিহি সরকারকে করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। মঙ্গলবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে কেনো লবণ, পেঁয়াজ, চালের দাম বেড়েছে? এই যে বর্ধিত মূল্যের জন্য সাধারণ দরিদ্র মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করা হয়েছে, এতো লুটের টাকা কার পকেটে গেছে- তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।

তিনি বলেন, এই সময়ে মূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিতা নাই।

রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গরিব ও দুস্থদের মাঝে পেঁয়াজ, চাল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেক দল। এ সময় শতাধিক গরিব মানুষের মাঝে উক্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান।

ড. মঈন খান বলেন, সরকারের কোষাগার এখন শুন্য। তারা পাগল হয়ে গেছে। তারা এখন হন্যে হয়ে ছুটছে কোথা থেকে টাকা সংগ্রহ করা যায়? তারা মরিয়া হয়ে ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে। তারা সাধারণ গরিব মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর উপর হাজার হাজার টাকা ভ্যাট আরোপ করেছে। কারণ এই সরকার খাজাঞ্চি খানা লোপাট করেছে মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতির মাধ্যমে।

তিনি বলেন, এই যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে সে অর্থ তো সরকারের খাজাঞ্চি খানায় যায় না। সে অর্থ যায় সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট কয়েকজনের পকেটে। সাধারণ মানুষ তাদের রক্ত পানি করা অর্থ কেনো গুটিকয়েক মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আজকে বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে চলছে লোপাট। গুটিকয়েক ধনবান ব্যক্তি আরো ধনশালী হচ্ছে। বিত্তবান থেকে বিত্তবান হচ্ছে। আজকে দরিদ্র মানুষের অবস্থা চিন্তা করুন। ২৩০ টাকা কেজি দরে তাদের কি পেঁয়াজ কেনার সামর্থ্য আছে? ১০০ টাকায় লবণ কেনার সামর্থ্য আছে? এটাই কি বাংলাদেশের উন্নয়নের জোয়ারের লক্ষণ?

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের দরিদ্র ও শান্তিপ্রিয় মানুষ। শান্তিতে দু’বেলা খেয়ে বাঁচতে চাই। অথচ সরকার যদি সেটা না দেয় তাহলে দেশের মানুষ কোথায় যাবে? ধনীর প্রাসাদ দেখে তো গরিবের পেট ভরবে না। আসুন আমরা গণতন্ত্র কায়েম করি। কারণ এটা প্রমাণিত যে, দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, জবাবদিহিতা না থাকে, সুশাসন-সুবিচার না থাকে তাহলে কোনো দেশ উন্নত হতে পারে না। আজকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন চলছে এটা হচ্ছে কসমেটিক উন্নয়ন। সত্যিকারার্থে দেশে কোনো উন্নয়ন নেই।

ড. মঈন বলেন, আসুন আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদ জিয়াকে মুক্ত করে জনগণের কাতারে নিয়ে আসি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে গ্রামে-গঞ্জে, হাটে বাজারে গিয়ে দরিদ্র মানুষের সেবা করবো। আমাদের ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। রাজনীতি করলে যে শুধু ক্ষমতায় যেতে হবে এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই; কিন্তু যারা বিনা নির্বাচনে, বিনা ভোটে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করেছে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নাই। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে দেশের মানুষের হাতে বহুদলীয় গণতন্ত্র তুলে দিই।

এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করে নজরুল ইসলাম।


আরো সংবাদ



premium cement