২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জলবায়ূ পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ নেপাল একযোগে কাজ করবে

জলবায়ূ পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ নেপাল একযোগে কাজ করবে - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও নেপাল জলবায়ূ পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে একযোগে কাজ করবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এম আব্দুল হামিদ ও নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি আজ সন্ধ্যায় নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতল নিবাসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে একই অভিমত ব্যক্ত করেন। উভয় দেশের রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় রাখায় একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা এবং কাঠমান্ডু দুই দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উভয় দেশ গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। তবে বাংলাদেশ ও এর জনগণ সব সময় আমাদের হৃদয়ে।’

নেপালের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সৈয়দপুর থেকে নেপালের ভদ্রপুর, বিরাটনগর অথবা ভৈরবা বিমান যোগাযোগের অনুরোধ জানালে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে নিজেই এ প্রস্তাব দিয়েছেন। উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশই এ যোগাযোগ স্থাপনের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

বৈঠকে দেবী ভান্ডারি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদ্যা দেবী বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যায় আছে তা-নয়, এ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা দেয়া হয়।’

তিনি নেপালী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দীর্ঘ মেয়াদি করায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নেপালে ২০১৭ সালে স্থানীয়, প্রাদেশিক এবং সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে সম্পন্ন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সে দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃতবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নেপালের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের নৈতিক ও সার্বিক সমর্থনের কথা স্মরণ করে আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ১১ বিশিষ্ট নেপালী নাগরিককে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ হিসেবে সম্মান জানাতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, দীর্ঘমেয়াদী এই সমস্যা সমাধানে নেপাল বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে দ্রুত সম্মানের সহিত তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে সে বিষয়ে মিয়ানমারের উপর তাৎপর্যপূর্ণ চাপ অব্যাহত রাখবে।

দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান চমৎকার সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে পারস্পরিক এ সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে আরো শক্তিশালী হতে থাকবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। বৈঠককালে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিকুর রহমান আতিক, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরি এমপি, পররাষ্ট্র সচিব মো: শহিদুল হক, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়–য়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল শামিম-উজ-জামান এবং প্রেস সচিব অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement