২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

খোকার জানাজায় জামায়াতের অংশগ্রহণ

নয়া পল্টনে হয় খোকার তৃতীয় জানাজা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাবেক মন্ত্রী, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল হালিম, নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসেনসহ মহানগরীর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতৃবৃন্দ।

জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এমন এক সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যু জাতিকে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।

তিনি বলেন, সাদেক হোসেন খোকা শুধুমাত্র একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা না, এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার সরব অংশগ্রহণ এবং বড় ভূমিকা ছিল। এসবের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাতি তার অবদান আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

এর আগে সংসদ ভবনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয় খোকার লাশ। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে বিকেল ৪টায় নগর ভবনে হয় চতুর্থ জানাজা। পঞ্চম ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ধুপখোলা মাঠে। 

তার আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ২৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিএনপির এই অন্যতম প্রভাবশালী নেতার লাশবাহী ফ্লাইট।

গত সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাদেক হোসেন খোকা।

ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের মে মাসে সস্ত্রীক দেশ ছেড়েছিলেন একসময়ে ঢাকার দাপুটে এ নেতা। তখন থেকেই সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement