দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে আবরার হত্যার বিচার দা‌বি ১৪ দ‌লের

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের এক জরুরি সভায় এ দাবি জানানো হয়।

 সভা শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ফাহাদ হত্যার বিচার করতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এসব খুনিদের বিচার দাবি ক‌রেন তি‌নি। তি‌নি ব‌লেন, আমরা আশা করছি দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।

‘আমরা খুব দুঃ:খ পেয়েছি, বুয়েটের ভিসি তাৎক্ষণিকভাবে তার সন্তান তুল্য আবরার হত্যাকান্ডের পরে সেখানে গেলেন না কেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন ভিসির কাছে এ ধরণের আচরণ আশা করি না। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হই যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়’-যোগ করেন না‌সিম।

আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা ব‌লেন, কি কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। তার জন্য আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত। যোগ্য ব্যক্তি, দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং যোগ্য ব্যক্তিকে এ ধরণের উচ্চ পদে বসানো উচিত ব‌লেও ম‌নে ক‌রেন তি‌নি।

এক জন ভিসির কাছ থেকে এটা আমরা আশা করিনি। এই হত্যাকান্ড অত্যন্ত দুঃখজনক, বেদনাদায়ক। আমরা ভিন্ন মতকে গ্রহণ করতে চাই। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

নাসিম বলেন, কিছু চেনা মুখ অশুভ শক্তি এই দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। বিএনপি এই ঘটনার বিচার যত না চায় তার চেয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার সরকারকে বেশী প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ১৪ দল এই বেদনা দায়ক ঘটনায় বুয়েট ছাত্র আবরারের পিতা মাতাসহ পরিবারের সবার প্রতি ১৪ দল সহানুভুতি জানাচ্ছে।

চৌদ্দ দলের মুখপাত্র না‌সিম জানান, আগামী ২২ অক্টোবর ১৪ দল ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে সেটা নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা করবে। সেই সাথে আগামী ২৩ অক্টোবর ১৪ দল রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আরেকটি গোলটেবিল আলোচনা করবে বলে নাসিম জানান।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ভারতের সাথে যে ৫৩টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে তার মধ্যে কোনটি দেশের স্বার্থ বিরোধী সেটি সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণ করার চ্যলেঞ্জ দিচ্ছি। ফেনী নদীর যে পরিমাণ পানি ভারতকে দেয়া হবে তাতে সেটাতে পরিবেশ প্রকৃতির উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। এ ব্যাপারে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। রাডার স্থাপনে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমাকে সুরক্ষা করবে। এই রাডার ভারত সরবরাহ করবে। যারা এর বিরোধীতা করছে তারা সমুদ্র সীমাকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিতে চায়।

সভায় উপ‌স্থিত ছি‌লেন-বাংলা‌দেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পাটির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন।