১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে দেশবাসী

-

চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে একটা নেতৃত্ব দরকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে-উনি আগামীতে কী ব্যবস্থা নেন। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব সঠিক ও সফলভাবে এই অভিযানের সমাপ্তি হবে। কারণ দেশ ও জাতি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখতে চায়।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জনতা লীগ (বিজেএল) আয়োজিত জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শেখ ওসমান গনী বেলালের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ শহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, এনডিপি মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামিদ উল্লাহ, বিএনএ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নূরুল আজহার শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহাজাদা, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, কৃষি সম্পাদক বিষয়ক মোস্তফা কামাল, যুগ্ম ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জিএম কাদের বলেন, ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন হয়নি। ওই সময় এরশাদ স্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি ক্ষমতা ছেড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মানুষের অন্তরে চলে গেছেন। যার প্রমাণ পেয়েছি তার অসুস্থ থাকাকালে ও মৃত্যুর পরে। তার জানাজায় মানুষের ঢল নামে।

জি এম কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আমি সংসদে বলেছি, আপনার কাছে জনগণ অনেক কিছু প্রত্যাশা করেন। কারণ আপনি অনেক শক্তিশালী একজন নেত্রী। তার মত এত বেশি শক্তিশালী নেতৃত্ব নিয়ে ইতোপূর্বে কোনো সরকারপ্রধান ক্ষমতায় আসেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আমরা ঋণী, এটা স্বীকার করি। তার সুযোগ্য কন্যা হিসেবে মানুষের অনেক প্রত্যাশা আছে তার কাছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

চলমান নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, যারা জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেন তারা এলাকায় গিয়ে নির্বাচিত হতে পারেন না, আবার অনেক আঞ্চলিক নেতা সংসদে নির্বাচিত হয়ে তার এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবে কিন্তু জাতীয় ভাবনা তাদের মাথায় আসে না। এজন্য ভোটের পদ্ধতি পরিবর্তন করে ভোটের আনুপাতিক হারে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার বিধান করতে হবে। প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা কায়েমের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ নিয়ে এরশাদের শাসনআমলে সমালোচনা করলেও পরবর্তীতে সর্বমহলে তা গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। এখনো তা পরিপূর্ণতা পায়নি। প্রাদেশিক ব্যবস্থা চালু হলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হবে, ঢাকা শহরের ওপর চাপ কমবে। তখন কোন কাজের জন্য জেলা শহরের কোন মানুষকে ঢাকায় আসতে হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement