১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

কর্মসূচির মধ্যে আছে, ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার মৎস্যজীবী দলের মানববন্ধন, ১৬ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দলের বিক্ষোভ মিছিল, ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁতী দলের মানববন্ধন, ১৮ সেপ্টেম্বর এ্যাবের মানববন্ধন, ১৯ সেপ্টেম্বর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর উদ্যোগে মানববন্ধন, ২০ সেপ্টেম্বর যুবদলের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল, ২১ সেপ্টেম্বর ওলামা দলের মানববন্ধন, ২২ সেপ্টেম্বর মহিলা দলের মানববন্ধন, ২৪ সেপ্টেম্বর কৃষক দলের উদ্যোগে মানববন্ধন ও ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রমিকদলের উদ্যোগে মানববন্ধন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। কারণ তাকে বন্দী করা হলে শাসকগোষ্ঠীর লুটপাট করতে সুবিধা। কেননা বেগম খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর জামিন দেয়া হচ্ছে না। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সরকার সচেতনভাবে সংবিধান লংঘন করে দেশ শাসন করছে। একই ধরনের মামলায় অন্য অনেকে জামিন পেলেও কেবল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, শুধু ভিন্ন লেবাসে বাকশাল শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের ২৬ লাখ নেতাকর্মীর নামে এক লাখের বেশি মামলা। অসংখ্য নেতাকর্মী গুম। যার মধ্যে এমপি ও জনপ্রতিনিধিও আছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার নামে ৩০-৪০টি মামলা নেই! তাহলে এটা কিসের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র? আজ গোটা দেশের সমাজ ব্যবস্থা বিভক্ত করা হয়েছে। এভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন ফ্যাসিস্ট সরকার। আজ এতোগুলো টিভি চ্যানেল কিন্তু জনগণের কথা কি তারা তুলে ধরতে পারছে? এককথায় দেশে কোনো সরকার নেই।

এর আগে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় তলায় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে যৌথ সভা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশারফ হোসেন, মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদ, মহাসচিব অধ্যাপক ডা: আবদুস সালাম, মহিলা দলের সুলতানা আহম্মেদ, ওলামা দলের শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, আব্দুর রহিম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের

সকল