কাশ্মির নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়বে : বাম গণতান্ত্রিক জোট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৫:২৭
কাশ্মির ইস্যুটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আখ্যা দিয়েছেন- সে বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এটি দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত একটি বিষয়। কাশ্মির নিয়ে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। এতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের এ অঞ্চলে হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হবে। ভারতের বিজিপি সরকারের হাত ধরে ইসরাইলিদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিষয়েও উদ্বেগ জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় নেতৃবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা জোট সমন্বয়ক ও ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে সিপিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবি’র কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান ও গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া।
সভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহকে আলোচ্য বিষয় না করা এবং ভারতের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে ভারতকে স্বস্তি প্রদান করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ভারত সরকারের গড়িমসি এবং দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বণ্টনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন ফর্মুলার কথায় নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, একতরফাভাবে ফেনী নদী থেকে পানি নেয়ার বিষয়টি ভারত আলোচনায় আনার চেষ্টা করছে। সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির বিষয়টি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় যথোপযুক্তভাবে তুলে ধরার ব্যর্থতায় ক্ষোভ জানানো হয়।
এতে এর পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-কে বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কাজনক আখ্যা দেন। তারা ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দের বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার বিষয়ে বিষোদগারের সমালোচনা করেন। নেতৃবৃন্দ প্রতিনিয়ত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের দুর্বল মনোভাবের সমালোচনা করেন। ভারতীয় ৫০ কোটি ডলার ঋণে ভারত থেকে অস্ত্র ক্রয়ের আহ্বানেও নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচ্য বিষয়সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বানও জানান নেতৃবৃন্দ। এছাড়া গত ঈদে চামড়ার দাম নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের তৎপরতা ও সরকারে নিস্পৃহতা এবং ডেঙ্গু মহামারী দমনে সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।