২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না : নাগরিক ঐক্য

-

দেশে সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নাগরিক ঐক্যের নেতৃবৃন্দ। শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে পার্টির সভায় একথা বলা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সভার প্রস্তাবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের নেতৃবৃন্দ।

এতে আরো বলা হয়, যে দেশের মানুষের মান সম্মান রক্ষায় ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছে, সেই দেশে জীবন এখন কচু পাতার পানির মতো হয়ে গেছে। এমনিতেই গত ১০ বছরে গুম, খুন, হত্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে গেছে। এখন প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আদালত এর মধ্যে পর্যন্ত মানুষ খুনের হয়েছে। নুসরাতকে ধর্ষণ চেষ্টায় নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে এবং পরে ঘটেছে রিফাত হত্যাকাণ্ড। ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ড এখন একটা মহামারী রূপ নিয়েছে। সড়কে মৃত্যুর মিছিলের সাথে নতুন করে আবার যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু। মানুষ মারা যাচ্ছে এডিস মশার কামড়ে। সরকার মশা মারার ওষুধ কিনতে দুর্নীতি করেছে, আর বলছে ডেঙ্গুর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেছে।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তার মধ্যে খাদ্যে ভেজাল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মানুষকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'কী খেয়ে বাচবো? কোন খাদ্য দ্রব্যই তো বিষমুক্ত নয়। মনে হয় পুরা দেশের মধ্যেই বিষবাস্প ছড়িয়েছে। এবং এই বিষ নিয়ন্ত্রণ করার কোন চেষ্টা নেই।

সবচাইতে ভয়াবহ ব্যাপার যেটা হয়েছে সেটা হল নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ভয়াবহ অধঃপতন। স্বাধীনতার অব্যাবহিত পরে যেরকম গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা শুরু হয়েছিল ঠিক তারই আরেকটি রূপ আমরা দেখছি এখন। বিশেষ করে রাজধানীর বাড্ডায় তসলিমা বেগমের মৃত্যু সারাদেশের বিবেককে নাড়িয়েছে। আর তৈরি করেছে অসংখ্য প্রশ্ন। এ কি কেবলই গুজব? গুজবের ফসল? না-কি এর পেছনে অদৃশ্যে কোন শক্তি কাজ করে? এ সব প্রশ্ন আজ সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

সভায় প্রশ্ন করা হয়, কোন দিকে যাচ্ছি আমরা? বাংলাদেশ কি একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে? এটি তো এখনই একটি মৃত্যু উপত্যকা।একটা দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন যখন সরাসরি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে রাতের অন্ধকারে অপারেশন চালায় তখন সেই দেশে কোন নৈতিকতার বালাই থাকার কথা নয়। আমরা কি ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাইনি?

নাগরিক ঐক্যের আজকের এই সভা মনে করে রুখে দাঁড়াবার এখনই সময়। আর সেজন্য দল, গোষ্ঠী, পরিবার, ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্ত-স্বার্থ বাদ দিয়ে সামষ্টিক চিন্তা করতে হবে। রাষ্ট্রকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র।

 


আরো সংবাদ



premium cement