হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে প্রিয়া সাহাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

এদিকে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের জরুরি সভা শেষে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় সংগঠনের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা (প্রিয়বালা বিশ্বাস)-কে পরিষদের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। 

ঐক্য পরিষদ কার্য ালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যদাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।’

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রিয়া সাহা বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছে। এখনও সেখানে ১৮ মিলিয়ন (১ কোটি ৮০ লাখ) সংখ্যালঘু জনগণ রয়েছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ত্যাগ করতে চাই না। আমি আমার ঘর হারিয়েছি, আমার জমি নিয়ে গেছে। আমার ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনো বিচার নাই।’

প্রিয়া সাহাকে ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেছেন, এসব কারা করছে? জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘উগ্রবাদী মুসলিমরা এই কাজ করছে। সবসময় তারা রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে এই কাজ করে।’

প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিল সংগঠনটি।