আইনি পথ ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো বিকল্প পথ নেই : তথ্যমন্ত্রী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৯ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৮
আইনি পথ ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির আর কোনো বিকল্প পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আইনি পথ ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির আর কোনো বিকল্প পথ নেই। আপনারা সেই পথেই হাঁটেন।
তিনি বলেন, বিএনপি ক’দিন পর পর বলেন খালেদা জিয়ার বাঁচবেন না। কিন্তু প্রকৃত বিষয় তা নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল তিনি জিহ্বায় কামড় খেয়েছেন, তাতে খাবার খেতে পারছিলেন না। এই সস্তা সেন্টিমেন্ট নিয়ে ওনারা দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান সেটা ভাবনার বিষয়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরিশালে একটি সমাবেশ করেছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। কারণ কোনো রকম চেয়ার ছুড়াছুড়ি ছাড়া যেহেতু সমাবেশ শেষ করতে পেরেছে।
তারা (সরকার) দেশের উন্নয়ন করছে বলে প্রচার করছেন, আসলে তো তারা পকেট ভারি করছেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন কথার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তারাই পকেট ভারী করেছেন। তারা তখন দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা দুর্নীতি করেন সেজন্য তারা সব কিছুতে কিন্তু খুঁজেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটি তারা স্বীকার করতে পারছেন না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ শেখ হাসিনাকে যখন আটক করা হয়। সে সময় সেনা সমর্থিত সরকার তাকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছিল। সে সব প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী রাজি হননি। গণতন্ত্রের প্রশ্নে মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। তার সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক ও নেতাকর্মীরা। সেই কারণে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ারও মুক্তি লাভ করেছিল। কারণ সে সময় রাজপথে যখন আন্দোলন চলছিল তখন বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজপথে তেমন দেখা যায়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা যখন আঁচ করতে পেরেছিল তাদের নেত্রীকে গ্রেফতার করা হবে। তখন আমি প্রধানমন্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করছিলাম বলে তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল একসাথে মুক্তি আন্দোলন করার জন্য। পরে ১১ জুন ২০০৮ সালে বন্দিদশা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি লাভ করেন। পরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের তিন-চতুর্থাংশ সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। গত ১০ বছরে দেশ বদলে গেছে। এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত টয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।