২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তদারকি সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন দিন : বাম জোট

- ফাইল ছবি

দেশে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও ক্রমবর্ধমান গণতন্ত্রহীনতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, ভোট-ডাকাতির সংসদ বাতিল করে দলনিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বাম জোটের নেতৃবৃন্দ। আর এ লক্ষ্যে আন্দোলনকারী সকল শক্তি ও দেশবাসীকে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভার প্রস্তাবে এ আহবান জানানো হয়।

তোপখানা রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সভায় বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, খালেকুজ্জামান, শাহ আলম, সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, জোনায়েদ সাকী, কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, হামিদুল হক, মমিনুর রহমান মমিন, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, রাজেকুজ্জামান রতন, আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বহ্নি শিখা জামালী, মানস নন্দী, আনসার আলী দুলাল, আকবর খান, বাচ্চু ভুইয়া, মুনীরউদ্দিন পাপ্পু, কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক, জুল হাস নাইন বাবু, দীপক চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

সভার প্রস্তাবে গত ২১ জুন ২০১৯ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর - ভারতের উচ্চ কক্ষ ও নিন্মকক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া বক্তব্যে ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতে সকল রাজ্যসমূহে নাগরিকত্ব পঞ্জি (এনআরসি)’ করার ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এটা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, যা কারো জন্যই শুভ হবে না। প্রস্তাবে বলা হয়, এমনিতেই বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১১ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে মহাসংকটে রয়েছে, এর উপর ভারতের শাসকশ্রেণির নাগরিকত্ব পঞ্জি নামে মুসলমান খেদাও নীতি বাংলাদেশের জন্য বোঝার উপর শাকের আটির মতো অসহনীয় হবে।

প্রস্তাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্যের পরেও বাংলাদেশ সরকারের নীরবতা নতজানু নীতিরই প্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের জনগণকে ভারতীয় সা¤্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী তৎপরতা ও বাংলাদেশকে ঘিরে চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় চলতি বাজেটে ধনীতোষণ ও গরীব শোষণ নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, বাজেটে ধনীদের স্বার্থই রক্ষা হয়েছে। কর ছাড়, প্রণোদনাসহ নানাভাবে ধনীদের তুষ্ট করা হয়েছে এবং গরীবের উপর ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর নামে করের বোঝা চাপানো হয়েছে।

সভার প্রস্তাবে বাজেটে বোরো ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, প্রতি ইউনিয়নে একটি করে গোডাউন নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ এবং গ্রাম-শহরের শ্রমজীবীদের রেশন ও আবাসনের জন্য থোক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।

সভার অপর প্রস্তাবে পুনরায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়ালে এর প্রভাবে সকল নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাবে যাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement