২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিরাট আকারের অন্তঃসার শূন্য বাজেট : মির্জা ফখরুল

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উচ্চাভিলাষী বাজেট ঘোষণা করেছেন। মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী বাজেটের আকার বড় করার চমক সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বাজেটের আকার কত বড় এ নিয়ে আর জনমনে উচ্ছ্বাস নেই। কেননা প্রত্যেক বছর বছরের শেষ দিকে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ যেভাবে কাট-ছাঁট করা হয় তাতে বিরাট আকার বাজেটের অন্তঃসার শূন্যতাই প্রকাশ পায়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাজেট নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার সিংহভাগ ধরা হয়েছে এনবিআর থেকে। অথচ চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় বেশ ঘাটতি রয়েছে। তার উপর এবার আরও বড় আকারের আদায়ের পরিকল্পনা। এটা রাতারাতি সম্ভব না। বর্তমানে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাতে ঘাটতি বরং আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেটের শিরোনাম দেয়া হয়েছে “সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ – সময় এখন আমাদেরঃ সময় এখন বাংলাদেশের”। আসলে সময় এখন তাহাদের এবং একমাত্র তাহাদেরই। সেটা বাংলাদেশের মানুষের বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাজেটের শিরোনাম থেকেই উন্নয়নের ‘গীত’ প্রকৃষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের ‘গীত’ আর মানুষ শুনতে চায় না।

তিনি বলেন, কর আর দ্রব্যমূল্যের চাপে ভোক্তা সাধারনের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। আয় বৈষম্য, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের কারণে সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি জনগণ এখন আর উন্নয়নের মিষ্টি কথায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে ভ্যাট ও সম্পূরক আইন ২০১২ কার্যকর করা হবে। নতুন আইনে ভ্যাটের স্তর থাকবে ৫টি। এই স্তরভিত্তিক ভ্যাট হার অনেক অসামঞ্জস্যপূর্ন। ব্যবসায়িরা রেয়াত নিতে না পারলে এটি আবগারি শুল্কের মতো হয়ে যেতে পারে। রেয়াতের টাকা কিভাবে দেয়া হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, বাজেট ব্যায় বেড়েই চলছে। বাজেট অনুযায়ী ঘাটতি মোকাবেলায় ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতিতে গুণক প্রভাব তৈরি করলে বাজেট ঘাটতি মেনে নেয়া যায়। তিনি বলেন, ঋণ বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ সরকারি চাকরিতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি, গণহারে পদন্নোতির মাধ্যমে বেতন কাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি। এ অর্থবছরে বেতন-ভাতার জন্য রাজস্ব আয়ের ২০ দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা কোন অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যায় বাড়াতে বাড়াতে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। চার লেন সড়ক তৈরির জন্য যেখানে ভারতে ১১ থেকে ১৩ লাখ ও চীনে ১৩ থেকে ১৬ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়, সেখানে বাংলাদেশ ৫০ লাখেরও বেশি।


আরো সংবাদ



premium cement
সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান জার্মানির অর্থ যেভাবে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার হচ্ছে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল

সকল