২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে চরম স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিরাজ করছে : জেএসডি

- ফাইল ছবি

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র স্টিয়ারিং নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশে আজ চরম স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার সবই কেড়ে নেয়া হয়েছে। জেএসডি স্টিয়ারিং কমিটির সভার প্রস্তাবে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

এতে তারা বলেন, স্বৈরতন্ত্র অবসানের জন্য সরকার বিরোধী স্বাধীনতার পক্ষের সকল দল ও শ্রেণী-পেশার নির্দলীয় সংগঠনসমুহকে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

বুধবার বিকেলে দলের নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের শান্তিনগরস্থ বাসভবনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে এভঠেক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, মিসেস তানিয়া রব ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

সভার প্রস্তাবে আরো বলা হয় ৩০ শে ডিসেম্বরের ভোট ২৯ শে ডিসেম্বর ডাকাতি করে সংসদ গঠন করা হয়েছে। এর পরবর্তী উপজেলা নির্বাচনেও সংগটিত হয়েছে একই ধরনের ভোট ডাকাতি। গুম-খুন, লুট-পাট, দখলবাজি, নারী ও শিশু ধর্ষণ চরম আকার ধারণ করেছে। কৃষি উন্নয়নের কথা বলে তাদের ৮০০ত টাকা মণে উৎপাদিত ধান ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে। অথচ এই ধানই বর্তমানে সরকার ফড়িয়াদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা মণে কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় আনুগত্য ছাড়া কারো চাকুরী হচ্ছেনা বললেই চলে। দেশের জিডিপি ক্রমাগত বাড়ছে বলা হলেও বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে যাতে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে উঠতে না পারে তার জন্য তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে।

বর্তমান এ স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থার অবসানের জন্য স্বাধীনতার পক্ষের সরকার বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল, অদলীয় সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার জনগনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর সাথে যুক্ত করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গুম-খুন, লুট-পাট, ধর্ষণসহ সকল অগণতান্ত্রিক ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এতে আরো বলা হয় সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর কথা মোতাবেক স্বাধীনতার রূপকার সিরাজুল আলম খানের উপর লিখিত বই যদি কল্প-কাহিনী ও ইতিহাস বিকৃতি হয় তাহলে তোফায়েল আহমেদও একটি কল্পিত চরিত্র ও বিকৃত ব্যক্তিত্ব।
উনি অতীতে বহু বক্তৃতায় বলেছেন, ৬৯, ৭০ এ আমি ছিলাম তোতা পাখি। সিরাজুল আলম খান সারা দিন এস এম হলের ক্যান্টিনে আমাকে যা শেখাতেন সমাবেশে যেয়ে আমি তোতা পাখির মতো তাই বলতাম। কারো ভয়ে আজ তোফায়েল আহমেদ এর মতো লোকের এধরনের বিকৃত চর্চা সাজেনা।

সভায় এবছরের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও শিল্পাঞ্চল ইউনিটের কাউন্সিল অনুষ্ঠান, কমিটি গঠন-পুনঃগঠন এবং কেন্দ্রীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি গঠন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement