২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার জন্যই খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে : রিজভী

-

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শুধুমাত্র প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য বর্তমান অবৈধ সরকার এদেশের মাটি ও মানুষের প্রাণাধিক প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষণা দিয়েই দেশনেত্রীকে আজীবন জেলে রাখার প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করছে, যা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জেনে গেছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘সরকার আইনী-প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে আঁচলবন্দী করে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অমানবিক কায়দায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। মানুষের স্বল্পায়ুর এক ছোট্ট জীবনে অবৈধ ক্ষমতার মসনদে বসে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে সরকার। মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য-উপহাস করছে, বড়াই আর অহংকার করছে ! চুয়াত্তর বছর বয়সী ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রীর ভয়াবহ অসুস্থতা নিয়ে এই সংযম-সাধনার মাসেও ‘আয়েশ-পায়েশ’ বলে প্রধানমন্ত্রী নিজে হাসি-তামাশা করছেন। কিভাবে সম্ভব একজন অসুস্থ জাতীয় নেত্রীকে নিয়ে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করা?’

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন আর কোনো টালবাহানা-মিথ্যাচার-আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে দেশনেত্রীকে জেলে রাখতে পারবেন না। জনগণের সামনে আপনাদের সব কুমতলব ফাঁস হয়ে গেছে। তাই আর কালক্ষেপণ না করে বেগম খালেদা জিয়াকে আপনার প্রতিহিংসাপরায়ণতার জিঞ্জির থেকে মুক্ত করে দিন। দেশের মানুষকে আর ক্ষিপ্ত করবেন না। আজই দেশের সকল মানুষ তাদের প্রিয় নেত্রীর মুক্তি চায়।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী গত চারদিন কোনো রকমে জাও ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন। তার মুখে ঘা হয়ে ফুলে গেছে। জিহ্বা নাড়াতে পারছেন না। তিনি শয্যাশায়ী। এই রমজানে জেলে তার অবস্থা বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘দেশ যে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তার প্রমাণ ব্যাংক-বীমা, কয়লা-পাথর, শেয়ার মার্কেট গলধকরণের পর এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সাগর চুরির দুর্নীতির খবরে বিস্মিত দেশবাসী। উন্নয়নের কথা বলে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মহাদুর্নীতির ওপর ভর করে।’

তিনি বলেন, ‘রূপপুর আনবিক প্রকল্পে বালিশ-কেটলীসহ প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেনার মহাদুর্নীতির খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পে কর্মরত মালি-ড্রাইভারদের বেতন লাখ টাকার কাছাকাছি, যা শুধু নজীরবিহীনই নয় এটি একটি জাহাজ মার্কা দুর্নীতিরই দৃষ্টান্ত। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদকের কোনো তৎপরতা নেই। কারণ দুদক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি মোছার যন্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে।’


আরো সংবাদ



premium cement