২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্ষোভ ভুলে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত ২০ দলীয় জোটের

- সংগৃহীত

ক্ষোভ, মান-অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আরো বৃহত্তর পরিসরে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে ২০ দলীয় জোট। সোমবার বিকেলে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শীর্ষ নেতারা এমন দৃঢ়তার কথাই ব্যক্ত করেছেন।

তবে একাদশ সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী নানা ইস্যুতে জোটের মধ্যে সৃষ্ট দূরত্ব নিয়ে জোটের অনেক নেতা বৈঠকে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। নীতি-নির্ধারণী যেকোন সিদ্ধান্ত জোটকে জানিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একইসাথে জোটকে অবহেলা না করে আরো সক্রিয় করার কথাও বলেছেন কেউ কেউ।

জোট নেতাদের এসব কথা আমলে নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- এখন থেকে প্রতিমাসে অন্তত একবার ২০ দলীয় জোটের বৈঠক হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী হত্যার প্রতিবাদ এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রমজানে দুই দিনের অনশন কর্মসূচি পালন করবে ২০ দল।

অনেকটা মান ভাঙাতে কিংবা ক্ষোভ প্রশমনেই ২০ দলের শরিকদের সাথে এই বৈঠক করে বিএনপি। গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টায় এই বৈঠক শুরু হয়। পরে জোটের শীর্ষ নেতারা একসাথে ইফতার করেন। জাতীয় নির্বাচনের পর গত ৪ মাসে জোটের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এই সময়ের মধ্যে বৈঠক হয়েছে মাত্র দুইটি।

জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতেই একটি দলের চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন, কেন একটি শরীক দল ঐক্যফ্রন্ট না ছাড়লে জোট ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিলেন। এর উত্তরে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, তিনি এ ধরণের কোনো কথা বলেননি। গণমাধ্যমে তার কথা উল্টোভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

নিবন্ধিত দল হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচনে কোনো আসনে মনোনয়ন না দেয়ায় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগপা ও মুসলীম লীগ। এই দুই দলের নেতা বলেন, তাদের কোনো আসন না দেয়ায় তারা অপমানিত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের কাছে তারা মুখ দেখাতে পারছেন না। তারা যে আরেকবার আন্দোলনে নামবেন, সেই প্রেরণা কোথা থেকে আসবে। এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আসন বন্টনে নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন।

সিদ্ধান্ত বদল করে কেন বিএনপির এমপিরা শপথ নিয়েছে, তা নিয়েও একাধিক শরীক বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন। উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সবসময় একইরকমের সিদ্ধান্তে অটল থাকা সম্ভব হয়ে উঠেনা।

বৈঠকে জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার ঐক্যফ্রন্টের কিছু কিছু ভূমিকার সমালোচনা করেন। তবে তিনি এও বলেন, দুই জোটের সমন্বয় করা বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে খুবই কঠিন কাজ।

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর জোট ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন নেতারা। বৈঠকে বিএনপি জানায়, এ বৈঠকে আসতে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু তিনি আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত দলগুলোর মধ্যে ৬/৭টি শরীক দলের নেতারা প্রধানত নানা প্রশ্ন তুলে কথা বলেছেন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি ও কল্যাণ পার্টির নেতারা তেমন কোনো কথা বলেননি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আব্দুল করিম, পিপলস পার্টির সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল