২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় শেখ সেলিমের নাতি নিহত

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় শেখ সেলিমের নাতি নিহত - সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরী (৮) নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন তার জামাতা। এর আগে ব্রুনেই সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স আহত হয়েছেন এবং নাতি জায়ান চৌধুরী নিখোঁজ হয়েছে।
ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে গির্জা ও হোটেল মিলিয়ে আটটি স্থানে বোমা হামলায় রোববার রক্তাক্ত হয় শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। এতে অন্তত ২০৭ জন নিহত ও ৫০০-এর বেশি লোক আহত হয়। হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরাও রয়েছেন।

সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারা উঠেছিলেন কলম্বোর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে। রোববার সকালে ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে বোমা হামলা হয়। এর মধ্যে হামলার শিকার একটি হোটেলের নিচতলার রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করতে গিয়েছিলেন প্রিন্স ও তার বড় ছেলে জায়ান চৌধুরী। ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ সোনিয়া ওই সময় হোটেলের কক্ষে ছিলেন।
বোমা হামলায় প্রিন্স আহত হন এবং ছেলে জায়ান নিখোঁজ হয়। পরে জায়ানের মৃত্যু খবর আসে।

জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স আহত হয়ে কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এমপি শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই।

শ্রীলঙ্কায় হামলার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, বোমা হামলার ঘটনার পর থেকে এক শিশুসহ দুই বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তাদের নাম-পরিচয় তিনি সে সময় প্রকাশ করেননি।

ব্রুনেই সফররত শেখ হাসিনা সেখানে প্রবাসীদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে নিজের স্বজনদের বোমা হামলার শিকার হওয়ার কথা প্রথম জানান।

তিনি বলেন, “শেখ সেলিমের মেয়ে, জামাই ও দুই বাচ্চা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ছিল। সেখানে মেয়ের জামাই প্রিন্স … ছেলে সাড়ে আট বছর… ওরাও গিয়েছিল.. রেস্টুরেন্টে, সেখানে বোমা পড়েছে।

“জামাই আহত হাসপাতালে, বাচ্চাটার এখনো কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না যে সে কোথায় আছে। আপানারা একটু দোয়া করেন, যেন ওকে পাই। “

হামলার সময় হোটেলের নিচতলার রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করতে গিয়েছিলেন প্রিন্স ও তার বড় ছেলে জায়ান। ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ সোনিয়া ওই সময় হোটেলের কক্ষে ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement