২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জনগণ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হবে : ড. কামাল

- ফাইল ছবি

জনগণ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হবে। সামনের দিনগুলোতে দেশের উজ্জল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ড. কামালের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সকালে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি সাম্প্রতিক কোটা বিরোধী আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে তরুণদের আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্তির আগেই সফল হবো। দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড. কামাল হোসেনেকে তার ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা। এরপর দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন ড. কামাল। এসময় গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আজ ড. কামালের জন্মদিন
ড. কামাল হোসেনের ৮৩তম শুভ জন্মদিন আজ শনিবার। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় আরামবাগের ইডেন কমপ্লেক্সের গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা।

সভার শুরুতে ড. কামাল হোসেনের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবে। ড. কামাল হোসেন সভার সভাপতি হিসেবে এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা বক্তৃতা করবেন।

ড. কামাল হোসেনের জন্ম বরিশালের শায়েস্তাবাদে। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২-এর ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে তাকেও মুক্তি দেয়া হয়। ড. কামাল হোসেন ১৯৯২ সালে গণ ফোরাম গঠন করেন। ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে গণ ফোরাম।

ব্যক্তিজীবন
১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রুডেন্সে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্যাচেলর অব সিভিল ল ডিগ্রি লাভ করেন। লিংকনস ইনে বার-অ্যাট-ল অর্জনের পর আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে পিএইচডি করেন ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে । আইনজীবী সারা হোসেন তার কন্যা।

কর্মজীবন
ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা হিসেবেই অধিক পরিচিত। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সবসময়ই সোচ্চার। ১৯৭০ সালের পাকিস্থানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. কামাল হোসেন জাতিসংঘের স্পেশাল রিপোর্টারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি গণফোরাম নামের রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গড়ে উঠেছে সেটির নেতৃত্বে আছেন ড. কামাল।


আরো সংবাদ



premium cement