‘নদী খেকোদেরও বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:১২
বিশিষ্ট কলামিস্ট বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, নারী ধর্ষকদের মত নদী খেকো দখলকারীদেরও বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে।
গ্রীন ভয়েস’র উদ্যোগে ৬৪ জেলায় ‘গ্রীন ভয়েস-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা সারা বছর নদী রক্ষায় আন্দোলন করে আসছি। যারা নদী দখলের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা এবং তাদের এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে দূর্বার অন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় যাদুঘরের সামনেসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (শাহবাগ, ঢাকা) বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী-তুরাগ ও শীতলক্ষ্যাসহ সকল নদী দখল-দূষণ মুক্ত ও নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্টিত হয়। সমাবেশে গ্রীন ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট লেখক বুদ্ধিজীবি সৈয়দ আবুল মকসুদ গ্রীন ভয়েসের ১৪ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীর ঊদ্বোধন করেন।
এতে সঞ্চালনা করেন গ্রীন ভয়েসের যুগ্ম সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন। এসময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক, শাহজাহান মৃধা বেনু,মিহির বিশ্বাস, স্থপতি ইকবাল হাবীব, মানবাধিকার কর্মী ও বাপা নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, বিধান চন্দ্র পাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, শ্রমিক নেতা আবুল বারাকাত ,নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাঊডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা,সাবেক ছাত্রনেতা রুস্তম আলাী খোকন গ্রীন ভয়েস ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তারসহ প্রমূখ।
মিহির বিশ্বাস বলেন, সরকার আমাদের দাবী মেনে নিলেও বাস্তবায়নে সে রূপ সাফল্য আসেনি। সরকারের অনেক নীতি পরিবেশবান্ধব এটা আমরা লক্ষ করেছি। কিন্তু জনগণ সেই সুবিধা পাচ্ছে না। একচেটিয়াভাবে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। যা আগে ২৪ হাজার কি.মি.নৌপথ ছিল এখন তা ৩ থেকে ৫ কি.মিটারে ঠেকেছে। বর্তমান সরকার কতটুকু নদী উদ্ধার করে তা এই পরিসংখ্যান থেকে তুলনা করে বুঝা যাবে। নদী দূষণ ভয়াবহ এবং ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ ও কমে গেছে। এমতাবস্থায় ভূপৃষ্ঠের পানি যথোপযুক্ত সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
বক্তারা আরো বলেন, নদী মাতৃক বাংলাদেশ প্রধানত গঙ্গা-বহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর পলি মাটি দিয়ে গঠিত একটি বদ্বীপ ভূমি। নদী শুধু আমাদের মাটি ও পরিবেশের শতকরা আশি ভাগের জন্মদাত্রীই নয়, অনাদিকাল থেকেই প্রতিমুহুর্তে নদীর পানি দ্বারাই আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি, জীবন ও মানুষ সিঞ্চিত হচ্ছে। একাদশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্য ছিল প্রায় দেড় হাজার। নদী গুলোছিল প্রশস্ত, গভীর ও পানিতে টইটুম্বুর, বর্ষাকালে প্রমত্তা। সারা বছর নাব্যতা থাকে তেমন নদীর সংখ্যা আজ সর্ব সাকুল্যে ২৩০ টি।
গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও বরাক মেঘনানদীএবংতাদেরউপনদী,শাখানদী ও অন্যান্য সীমান্ত অতিক্রান্ত নদী মিলেই সারা বাংলাদেশের মুলনদী নেটওয়ার্ক গঠিত। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা আজ ব্যাপক নদী বিপর্যয়ের শিকার।