১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`
কর্মশালায় বক্তারা

পণ্যে পারদের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

পণ্যে পারদের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর - সংগৃহীত

পণ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ পারদের ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহারে যথেষ্ট পরিমাণ সচেতন হতে হবে। তবে ২০২০ সালের মধ্যে পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহার বন্ধে অবিলম্বে একটি আইন প্রণয়ন করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত কর্মশালঅয় এবক্তব্য উঠে আসে। মিনামাটা ইনিশিয়াল অ্যাসেসমেন্ট (এমআইএ) প্রকল্পের অধীনে ‘পারদ দূষণ: স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশের উপর প্রভাব’ বিষয়ক অংশীদার কর্মশালাটি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসমিন চৌধুরী, এমআইএ প্রকল্প পরিচালক মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, এবং এসডো মহাসচিব ও ইউএন এনভায়রনমেন্ট এর পারদ বিশেষজ্ঞ ড. শাহরিয়ার হোসেন।

এতে বলা হয় কর্মশালায় পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এর যথাযথ ব্যবস্থাপনার প্রতি জোর দিয়ে এই কর্মশালায় বিশেষজ্ঞগণ মত প্রকাশ করেন। বিভিন্ন পণ্য ও শিল্প প্রক্রিয়ায় পারদের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। এতে জানান হয় পরিবেশে নির্গত হওয়ার বহু বছর পরও পারদযুক্ত পণ্য পরিবেশের ক্ষতি সাধন করতে থাকে। এতে বলা হয় ইএসডিও কর্তৃক পরিচালিত জরিপে দেখা যায় যে, প্রতি বছর ২১ হাজার ৩০ কেজি পারদ পরিবেশে ছড়িয়ে পরছে।

কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পারদের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ২০২০ সালের মধ্যে পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহার বন্ধে অবিলম্বে একটি আইন প্রণয়ন করা। কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পারদের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ২০২০ সালের মধ্যে পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহার বন্ধে অবিলম্বে একটি আইন প্রণয়ন করা।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, পারদ ও এর যৌগ সমূহের ক্ষতি থেকে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় ‘মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি’ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যাতে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে স্বাক্ষর করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে পারদযুক্ত বিভিন্ন পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত। ড. মো. বিল্লাল হোসেন, বলেন, আমরা অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থায় আছি। পণ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ পারদের ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের যথেষ্ট পরিমান সচেতন হতে হবে।

মাসুদ ইকবাল মো. বলেন, প্রায় সব ক্ষেত্রে পারদের বিকল্প পাওয়া যায়, সুতরাং আমাদের পারদ যুক্ত পণ্যগুলির ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।

মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, পারদের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এটি ত্বক, ফুসফুস, কিডনি, এবং স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

অপরদিকে ড. শাহরিয়ার হোসেন , এসডোর মহাসচিব এবং ইউএন- এনভারয়নমেন্ট মার্কারি বিশেষজ্ঞ বলেন, যখন মার্কারি যুক্ত পণ্য পরিবেশে ফেলা হয়, এগুলো ড্রেনের পানির সাথে সহজেই মিশে যায় এবং পরবর্তীতে নদী ও সাগরে গিয়ে জমা হয়। তিনি আরও বলেন, এই মার্কারি মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রবেশ করে রক্তের কোষ গুলোর ক্ষতি করে।


আরো সংবাদ



premium cement
উন্মুক্ত করা হলো মদিনার ঐতিহাসিক আল ফকির কূপ জবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ফ্রান্সের হয়ে রেকর্ড ম্যাচ খেলা হলো না গ্রিজম্যানের ফ্রান্সের হয়ে রেকর্ড ম্যাচ খেলা হলো না গ্রিজম্যানের স্বর্ণের দাম এবার কমলো গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ছাত্রশিবিরের পাবনায় এক রাতে কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও! সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল হলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে : টিআইবি ফিলিপাইন ও জাপানের নেতাদের সাথে বৈঠকে বসছেন বাইডেন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের ভাড়া বেশি নিলে সেই বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিক সমিতির

সকল