২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শুক্র বা শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন কাদের

আওয়ামী লীগ
ওবায়দুল কাদের - ফাইল ছবি

শারীরিক অবস্থার উন্নতি অব্যাহত থাকলে আগামী শুক্র বা শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেতে পারেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবাল রাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো: আবু নাছের টেলিফোনে বাসস’কে এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘স্যারের (ওবায়দুল কাদের) শরীরের উন্নতির ধারাবাহিকতা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বৃহস্পতিবার ফাইনাল পর্যবেক্ষণ করবেন তার ডাক্তাররা। এরপর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্র অথবা শনিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ওবায়দুল কাদের এখন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে চিকিৎসক ও তার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে সেখান থেকে তাকে একটি ভাড়া বাসায় নেয়া হবে। ওই বাসায় রেখে তার আরো চিকিৎসা চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিনই তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। গত ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।

আরো পড়ুন :
কেমন আছেন কাদের, ফেসবুকে জানালেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০২ এপ্রিল ২০১৯
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরাও করছেন তিনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান তার ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

সেখানে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এবং মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভাই ক্রমেই সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।

তার রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস-ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিয় নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে এমন সুখবরই দিলেন প্রিয় নেতার সহধর্মিনী এডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের ভাবী। প্রিয় নেতার সাথে তার কেবিনে সাক্ষাত হলো, কথা হলো। সেই মূহুর্তগুলো ছিলো ভাষাহীন।

পরস্পরের দিকে আমরা তাকিয়ে। টানা এক মাসের উৎকণ্ঠায় থাকা মনটা কখন আবেগে তলিয়ে গেছে- খেয়াল করিনি। হটাৎ খেয়াল করলাম, চোখ দুটো ভিজে গেছে। অশ্রু সজল কাদের ভাইও। তার মলিন মুখে স্ফীত হাসি দেখে মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করলাম। সকৃতজ্ঞতায় বললাম, আল্লাহ আপনিই একমাত্র ভরসা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) এবং নিওরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী ভাই জানালেন, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে কাদের ভাইয়ের বাইপাস সার্জারীর পর আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করার পর এখন বেশ ভালো আছেন দেশ বরেণ্য প্রিয় নেতা কাদের ভাই।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।

অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ওইদিন রাতেই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

সেখানে আইসিইউতে কয়েকদিন রেখে চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে কাদেরকে ১৩ মার্চ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।


আরো সংবাদ



premium cement