২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আলেমদের ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন আল্লামা শফী

আলেমদের ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন আল্লামা শফী - সংগৃহীত

পাকিস্তানে মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের ওপর হামলার আশঙ্কা জানিয়ে সরকারের কাছে তাদের জন্য দেহরক্ষী চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবির কথা জানান।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২২ মার্চ) মুসলিম বিশ্বের বিশিষ্ট স্কলার পাকিস্তানের মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তিনি অক্ষত থাকলেও অপর গাড়িতে থাকা তার দুজন দেহরক্ষী নিহত হন এবং গাড়িচালক ও তার এক সফরসঙ্গী গুরুতর আহত হন।

মুফতি তাকি উসমানি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি। তিনি মুসলিম স্কলার হিসেবে সারা বিশ্বেই পরিচিত। বাংলাদেশেও তার প্রচুর ভক্ত-অনুরাগী রয়েছে। তার প্রচুর বই বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, ‘বাংলাদেশেও যে এমনটা হবে না, তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমি মনে করি, শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদের নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী রাখা জরুরি। কারণ তারা দেশের অমূল্য সম্পদ এবং মুসলিম উম্মাহর পথপ্রদর্শক। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আহমদ শফী বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। বড় সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা জীবনযাপন করছেন। পৃথিবীর প্রায় সবকটি মুসলিম দেশ শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত। পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির কালোথাবা মুসলিম উম্মাহকে পর্যুদস্ত করে চলেছে।’

বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী দাবি করেন, ইহুদি-খ্রিস্টান ও শিয়া সম্প্রদায় মুসলিম উম্মাহকে নেতৃত্বশূন্য করতে শীর্ষস্থানীয় আলেমদের হত্যার টার্গেট নিয়েছে। তাই বিশ্বের সব মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নিজ নিজ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান তিনি।

আরো পড়ুন : সরকার ধোঁকাবাজি করে ক্ষমতায় আছে : মঈন খান
নিজস্ব প্রতিবেদক ২২ মার্চ ২০১৯

বিশ্বের রোড মডেল হলে কেনো জাতিসংঘের ‘সুখী দেশের তালিকা‘য় বাংলাদেশের অবস্থান নিচে নেমে গেছে? সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার ধোঁকাবাজি করে ক্ষমতায় আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের সুখী দেশের তালিকার প্রসঙ্গ টেনে আজ শুক্রবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকের পত্রিকায় আছে, গতকাল জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেই রিপোর্টটা হচ্ছে, বিশ্বের কোন কোন দেশ সুখী তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই কথা বলতে লজ্জ্বা হয়, এবারের তালিকায় বাংলাদেশ সুখী দেশের যে সিরিয়াল, সেই সিরিয়ালে আরো ১০টি পজিশন নিচে নেমে গেছে।


তাহলে আমার প্রশ্ন- সরকার যে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা রেডিও-টেলিভিশনে বলছে, বাংলাদেশ নাকী বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশ যদি বিশ্বের রোল মডেল হয়ে থাকে তাহলে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ কেনো নিচে গেলো- সেই প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে।

আমি বলতে চাই, ধোঁকাবাজি দিয়ে চিরদিন থাকা যায় না। আপনারা বিশ্বের এক মনীষীর কথা শুনেছেন, তিনি বলেছিলেন, কিছু লোককে চিরদিনের জন্য ধোঁকা দেয়া যায় অথবা সব মানুষকে কিছু সময়ের জন্য ধোঁকা দেয়া যায় কিন্তু সব মানুষকে চিরদিনের জন্য ধোঁকা দিয়ে রাখা যায় না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। মহিলা দলের নেতা-কর্মী অসুস্থ কারাবন্দি নেত্রীর মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, মহিলা দলের নেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া, রোকেয়া চৌধুরী বেবী, রহিমা শিকদার, মমতাজ করিম, ফারজানা রুমা, বীনা চৌধুরী, রাশেদা জামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে অভিযোগ করে আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকার তারা আপনাদের (গণমাধ্যম) ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে, অলিখিত সেন্সরশীপ প্রয়োগ করে, অলিখিত বাকশালের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আপনাদের স্বাধীনতা, আপনাদের স্বাধীনভাবে কথা বলার যে অধিকার, সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

এটা চিরদিন তারা (সরকার) করতে পারবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রগামী মানুষ এর প্রতিবাদ করবে। ইনশাল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুনরায় এদেশের গণতন্ত্র কায়েম করবে, সেই গণতন্ত্র হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র বাকশালী গণতন্ত্র নয়।

খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে সরকারের নির্দেশে। এদেশে সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে, তারা পুলিশকে দখল করেছেন, তারা র‌্যাবকে দখল করেছে। শুধু এটা নয় তারা বিচার বিভাগকে দখল করে নিয়েছে। এদেশে ন্যায় বিচার নাই, এদেশের কর্তার ইচ্ছায় কর্ম।

মঈন খান বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলো। দেশের মানুষ সেটা গ্রহন করে নাই। আজকে স্বাধীনতার মাস। দেশের ১৮ কোটি মানুষকে মনে করিয়ে দিতে চাই, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো এদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য।

‘বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্র হয়‘ -প্রধানমন্ত্রীর এরকম বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে আজ মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দরিদ্র মানুষের রক্তের জল করা ট্যাক্সের হাজার লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে বর্তমান সরকার মেগা প্রকেক্ট করছে। এতে কার লাভ করছে? সরকারের গুঁটি কয়েক পোষা মানুষের লাভ হবে, সাধারণ দরিদ্র মানুষের কিছু হয় নাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা ইস্যুতে ইউরোপের নীতির সমালোচনায় অ্যামনেস্টি রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ

সকল