২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বাম জোট

গ্যাসের দাম বাড়ালে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

- ছবি : সংগৃহীত

গণশুনানির নামে প্রতারণা ও এলএনজি ব্যবাসয়ীদের মুনাফার স্বার্থে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ না করা হলে কঠোর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারী করে দিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে গতকাল এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে এ হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাম জোটের শীর্ষ নেতা বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদ মার্কসবাদী নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের মনিরুদ্দিন পাপ্পু, কম্যুনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, সিপিবি’র রুহিন হোসেন প্রিন্স।

সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা জুলফিকার আলী। কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিবিএল নেতা মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূইয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান, সিপিবি নেতা জলি তালুকদার, শামীম, বাসদ মার্কসবাদী নেতা জহিরুল ইসলাম, বাসদ নেতা আবদুর রাজ্জাক, খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।

নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত ১১ মার্চ থেকে কাওরানাবাজারস্থ কার্যালয়ে গণশুনানির আয়োজন করছে। গত ৩ দিনে পেট্রোবাংলা, তিতাস, বাখারাবাদ, জালালাবাদসহ বিভিন্ন গ্যাস বিতরণ ও সঞ্চলন কোম্পনির পক্ষ থেকে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। বুধবার ছিল গণশুনানির তৃতীয় দিন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিইআরসি’র দায়িত্ব ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করা কিন্তু তাদের অতীত ইতিহাস তারা গণশুনানির নামে সরকারের ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তের শুনানি করে। ফলে দাম বাড়ানোর গণশুনানি বন্ধ করে, দাম কমানোর জন্য গণশুনানির আয়োজন করতে বিইআরসি’র প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতৃবৃন্দ দাম বাড়ানোর পাঁয়তারার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের দেশ প্রেমিক জনগণকে বাম জোটের নেতৃত্বে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন,গ্যাস এমন একটি উপাদান যার দাম বাড়লে জনসাধারণের জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায় এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়ে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়, দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে দেখিয়েছেন যে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নাই। গত ৫ মাস আগে ১৬ অক্টোবর ২০১৮ দাম বাড়িয়েছে, আইনে আছে বছরে একবারের বেশি দাম বাড়ানো যাবে না ফলে এখন যে গণশুনানি হচ্ছে তা বেআইনী।

নেতৃবৃন্দ বলেন এক সময় সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হতো দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে এখন আবার এলএনজি গ্যাস আমদানি করে ব্যক্তিদের মুনাফার স্বার্থে বলছে গ্যাস নাই। অথচ দেশের স্থল ভাগের গ্যাস ক্ষেত্র যেগুলো বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেয়া হয়েছে সেগুলোতে প্রায় দুই যুগ ধরে অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

পাশাপাশি ২০১২ সালে সমুদ্র বিজয়ের ঢাক ঢোল পিটালেও সেখানে গ্যাস উত্তোলনের কোন উদ্যোগ সরকার নেয়নি, কিন্তু আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত-মায়ানমার তারা একই সমান্তরাল থেকে সমুদ্র বক্ষের গ্যাস উত্তোলন করছে।


আরো সংবাদ



premium cement