ঢাবি প্রশাসন সাজানো ছকে নির্বাচনে এগিয়েছে : ভিপি নূর
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৬:১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন সম্পর্কে নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, সাজানো ছকে নির্বাচনে এগিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে দেয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন ভিপি নূর।
এ সময় নূর বলেন, লেডি মাস্তান বাহিনী শোভন (ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি) ভাইর নেতৃত্বে রোকেয়া হলে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপক কারচুপির এ নির্বাচন প্রসঙ্গে ভিপি বলেন, তারা আমাকে ও আখতারকে নীল নকশা করে হারাতে পারেনি।
এ সময় তিনি বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাতিল করে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে পুনরায় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। একই সাথে নির্বাচনের আগেই ১১ মার্চের নির্বাচনের কারচুপির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার বিকেলেও রোকেয়া ছাত্রীরা নির্বাচনে অনিয়মের দায়ে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
প্রসঙ্গত, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ব্যালট ভর্তি বস্তা উদ্ধার আর ধীরগতিতে ভোট গ্রহণসহ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দেশের মিনি সংসদখ্যাত ডাকসু নির্বাচন। শিক্ষকদের পর্যবেক্ষক দল এবং দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও ডাকসুর সাবেক ভিপিগণ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী ব্যাপক অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন চুরির এ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভ করে। বুধবার দুপুরে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।
আরো পড়ুন :
চলতি মাসেই পুনরায় ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে : ভিপি নূর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বাতিল করে আদালতের নির্দেশনা মেনে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করে সবার মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কার্যালয়ের সামনে পাঁচ প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এ সময় নুরুল হক নূর বলেন, যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে, সমগ্র জাতি চেয়েছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কারচুপির নির্বাচন করেছে। তারা তাদের ছক অনুযায়ী নির্বাচন করেছে। এ বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল করে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্ররা যেসব দাবি তুলেছেন সেগুলো মেনেই নতুন নির্বাচন দিতে হবে। এরমধ্যে হলের বাইরে বিশেষ করে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র করা, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ, নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চালানো এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দিতে হবে।
নুরুল হক বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি- যারা অনিয়মের নির্বাচনের সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হবে। এটা ঢাবি শিক্ষার্থীদের দাবি।
তিনি বলেন, অনিয়ম করলেও আমাকে ও আখতারকে পরাজিত করতে পারেনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমাদের প্যানেলের আরো অনেকে জয়লাভ করতো। কিন্তু অস্বচ্ছ ও বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। এ বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
এ সময় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদার পদত্যাগ দাবি করে তিনি আরো বলেন, রোকেয়া হলের প্রভোস্টের নৈতিক স্খলন ঘটেছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের জিএস প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী প্রমুখ।