২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মহিলা আসনে রাশেদ খানের স্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিল

মহিলা আসনে রাশেদ খানের স্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিল - ছবি : সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবুল কাসেম মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম, উপসচিব মোঃ ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, আরিফা বেগম। পার্টির পক্ষে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড কামরূল আহসান, নারী মুক্তি সংসদের সহ-সভাপতি সালেনূর মিলন, সহসাধারণ সম্পাদক শাহানা ফেরদৌসী লাকী, মহানগর নেত্রী নাজমা আক্তার শিরিন, যুব মৈত্রী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এম মিলটন, তার পুত্র আনীক রাশেদ খান প্রমুখ।

লুৎফুন নেসা খানের সংক্ষিপ্তি জীবনী
লুৎফুন নেসা খান ছাত্র জীবনে তুখোড় ছাত্রনেতা এবং পরবর্তীতে নারী নেত্রী ছিলেন। সবার কাছে তিনি বিউটি আপা নামে পরিচিত। ইন্টারমিডিয়েট গর্ভমেন্ট গার্লস কলেজ বর্তমান বদরুন্নেসা গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স এবং এমফিল করেন। ইন্টারমিডিয়েট গর্ভমেন্ট গার্লস কলেজের ছাত্র সংসদে কালচারাল সেক্রেটারি ও পরবর্তী বছরে জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন।

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের একজন ছাত্র নেত্রী হিসেবে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন ও ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানে দৃঢ় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৪-তে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র ইউনিয়নের ১৯৬৫ সম্মেলনে তিনি সর্বসম্মতভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রথমে আত্মগোপনরত কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের সাথে যুক্ত থাকলেও অচিরেই পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে ছাত্রীদেরকে দৃঢ়ভাবে সংগঠিত করেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান পরে ছাত্রনেতা রাশেদ খান মেনন জেল থেকে বেরিয়ে এলে মে মাসে তিনি তাকে বিয়ে করেন এবং পরে তাদের এক কন্যা সন্তান সুবর্না আফরিন খান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০-এ সামরিক আইনে রাশেদ খান মেনন-এর ৭ বছর সশ্রম কারাদ- হলে তিনি তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন এবং সেখানে থেকে ‘কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি’র গোপন কাজের সাথে যুক্ত হন।

১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার পিতার ঢাকার বাসভবনে হামলা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা হিল্লোল শহীদ হন। কিন্তু এই ক্ষতিও তাকে মুক্তিযুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে নিতে পারেনি। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্ত হলে ডিসেম্বরেই রাশেদ খান মেননসহ দেশে ফিরে আসেন এবং দীর্ঘদিন পরে কন্যার সাথে মিলিত হন।

লুৎফুন নেসা খান সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং গ্রহণ করেন এবং সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছেন। তিনি দিল্লীতে সিপিআই(এম)-এর পার্টি কংগ্রেসে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে যোগদান করেন। পরে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ- এর প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নেপালে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেন।

এছাড়া তিনি সরকারি কাজে, ব্যক্তিগতভাবে এবং স্বামীর সাথে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, ভারত, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইটালি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল