১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষকের হাত থেকে রেহাই পেল না ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী

শিক্ষকের হাত থেকে রেহাই পেল না ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী - সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আবারো পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কোচিং পরিচালক ও সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী বেলজিয়ামকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাহেবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও স্কয়ার প্রি-ক্যাডেট কোচিং সেন্টারের পরিচালক বেলজিয়াম মিয়া কোচিং সেন্টার খুলে দীর্ঘ দিন থেকে বাণিজ্য করে আসছিলেন। গতকাল শুক্রবার কোচিং সেন্টারে অধ্যয়নরত পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ের পর কৌশলে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের একপর্যায়ে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অবস্থা বেগতিক দেখে বেলজিয়াম ছাত্রীটিকে কোচিং ক্লাসের এক পাশে লুকিয়ে রাখেন।

এ দিকে কোচিংয়ের সময় শেষ হওয়ার পরেও মেয়েটি বাড়িতে না ফিরলে তার মা কোচিং সেন্টারে খোঁজ নিতে আসেন। কিন্তু শিক্ষক বেলজিয়ামের উল্টোপাল্টা কথায় মেয়েটির মার সন্দেহ হলে লোকজনসহ কোচিং সেন্টারের ক্লাস রুমে প্রবেশ করে বিব্রতকর অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন লম্পট বেলজিয়ামকে বেদম মারধর করে স্থানীয় থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলজিয়ামকে আটক করে। এ ঘটনার স্থানীয় জনতা লম্পট বেলজিয়ামের বিচারের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জ-ঘোড়াঘাট সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে উত্তেজিত জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।

বেলজিয়াম সাপমারা ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের আব্দুল বাকি সরকারের ছেলে। বেলজিয়ামের বাবা-মা দুইজনই নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা।

সাতক্ষীরায় মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকি থেকে এক মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার 
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ভাড়ায়চালিত এক মোটরসাইকেল চালককে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘাতকেরা তার লাশ স্থানীয় একটি মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকির মধ্য ফেলে রাখে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৪)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে। 
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালামুদ্দিন (খোকন) কারিকরের ছেলে আল আমিন কারিকর (২৫) ও আব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০)।

আনুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার আব্দুস সাত্তার জানান, জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক। গত বুধবার রাত ১০টায় রবিউল, আল আমিন ও আবদুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে। রাজাপুর গ্রাম হতে রওনা দিয়ে মধ্যম একসরা দাখিল মাদরাসার কাছে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে চালক জাহাঙ্গীরের গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ ওই মাদরাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রেখে ঘাতকেরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। 

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন তাকে এসে জানায় যে, তার স্বামী জাহাঙ্গীর ওই ঘটনার দুই দিন পরে এখনো ফিরে আসেনি। এ সময় মোটরসাইকেল ভাড়া নেয়া রবিউল ইসলামকে ডেকে এনে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনকে খবর দেন। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায় সে জাহাঙ্গীরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। 
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিউল ইসলাম ও আল আমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। রাত ১২টায় পুলিশ এসে মধ্যম একসরা দাখিল মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকির মধ্য থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। 

আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement