২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আলোচনা

তিন কারণে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল : মওদুদ আহমদ

মওদুদ আহমদ - সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, তিন কারণে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল। একটা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনে গেছি। যদি না যেতাম তাহলে আপনারাই বলতেন না গিয়ে ভুল করেছেন। আরেকটি কারণ হল- নির্বাচনে গেলে আমাদের নেতাকর্মীরা বের হয়ে আসতে পারবে। মানুষের কাছে যেতে পারবে। আরেকটা কারণ ছিল ড. কামাল হোসনের উপর অন্ধ বিশ্বাস ছিল। নির্বাচন এতোটা খারাপ অবস্থা হবে তা ধারণায় ছিল না।

মওদুদ আহমদ বলেন, এই নির্বাচনে সরকার পুলিশকে ক্যাস টাকা দিয়েছে। আগে আমরা প্রার্থীরা ক্যাস টাকা দিতাম। কিন্তু সরকার যে ক্যাস টাকা দেয় সেটা আগে জানা ছিল না। এটা হাতে কলমে প্রমাণ করা যাবে না। তবে কথাগুলো শতভাগ সত্য।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুর বিষয়ে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জগলুল হায়দার আফ্রিক, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মনির হোসেন, এসএম কামাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মেহেদী প্রমুখ।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদের একজন প্রার্থীকেও সুষ্ঠুভাবে ৯০ ভাগ প্রচারণা চালাতে দেয়নি। একদিকে প্রার্থীদের ও নেতাকর্মীদের বাড়ির পাশে বোমা ফাটিয়েছে। ভয়ভীতি ছড়িয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে যেন তারা ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলে বাড়ি জালিয়ে দেবে। ছেলেদের জোলে পাঠাবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরীক অবস্থা সম্পর্কে মওদুদ আহমদ বলেন, তিনি একেবারেই হাটতে পারেন না। দুই হাতেই ব্যাথা। শারীর অবস্থা আগের চেয়ে অনেক খারাপ। সরকার যে ফরমুলা করেছে এখান থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। যতোদিন সম্ভব না হবে ততোদিন দেশে সভ্যতা ফিরে আসবে না।

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন আমাদের আরো বেগবান করতে হবে বলেও জানান তিনি। আর এই আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ।

আইনজীবী নেতা ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে করে ব্যারিস্টার মওদুদ আরো বলেন, আন্দোলন বললেই আন্দোলন হবে না। সারাদেশে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যাদের মা বোনদের ধর্ষণ করেছে তাদের পাশে দাড়াতে হবে। পুনর্বাসন করতে হবে। তাহ হলে তারা আপনাদের জন্য বা খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আইনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। আবার আমরা আইনজীবীরা মাঠেও নামতে পারিনা। তবে এর মাঝখানে একটা উপায় আমাদের বের করতে হবে। আইনজীবী ও মাঠের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে আন্দোলনের একটা উপায় বের করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২৭ ও ২৮ তারিখ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সভা শেষে এ নির্বাচনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্যানেল পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

 


আরো সংবাদ



premium cement