গায়েবি মামলায় আদালতে হাজিরা দিলেন আইনজীবীরা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৯
রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার (গায়েবি) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে হাজিরা দেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান, নিতায় রায় চৌধুরী, ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হাজিরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবীদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, মাসুদ রানা প্রমুখ।
এ বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, হাইকোর্টের আদেশে পল্টন থানায় দায়ের করা গায়েবি মামলার মূল এফআইআর, চার্জশিটসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নকলসহ হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সেজন্য আসামীদের পক্ষে পুলিশ রিপোর্ট পাওয়ার আবেদন করা হয়। তিনি বলেন, মামলার পুলিশ রিপোর্ট গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের বেধে দেয়া ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশ রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সারাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনজীবীসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৪ হাজার গায়েবি মামলার তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিশন চেয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী। ওই রিটের শুনানি নিয়ে বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে অন্তরবর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট খারিজ করে আদেশ দেন। জৈষ্ঠ্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী আদেশে আইজিপিকে গায়েবি ও কাল্পনিক মামলাগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসব মামলা কেন হল তা তদন্ত করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে এসব (গায়েবি ও কাল্পনিক) ফৌজদারি মামলা করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভুত ঘোষণা করা হবে না এবং এ ধরনের ‘কল্পিত’ মামলা দায়ের সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
তবে বিভক্ত আদেশের কারণে প্রধান বিচারপতি রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চে পাঠান। পরে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।