২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ধর্ষণের পর হত্যা : কে এই তরুণী?

তরুণী বৃদ্ধ ও নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার - ছবি : সংগৃহীত

নরসিংদীর শিবপুরে এক তরুণী ও এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে উদ্ধার করা হয়েছে এক নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ। 

নরসিংদী সংবাদদাতা জানান, শিবপুর থানা পুলিশ ও হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ পৃথক দু’টি এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণী ও এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিবপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ কারারচর এলাকা থেকে এক তরুণীর (২২) লাশ উদ্ধার করে। তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া একই উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আদুরী টেক্সটাইল মিলের কাছ থেকে ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় পৃথক দু’টি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, সৈয়দ হোসেন (৫০) নামে এক নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার পাগলা থানাধীন টাঙ্গাব ইউনিয়নের পাঁচাহার গ্রামের বাসিন্দা এবং শ্রীপুরের মাওনার মাস্টারবাড়িতে একটি বেসরকারি কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করতেন। নিহতের পরিবারের দাবি দাম্পত্য কলহের জের ও পূর্বের মামলার ঘটনায় তাকে পরিকল্পিতভাবে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষের লোকজন হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। নিহতের মেয়ের জামাতা মো: শাহীন বলেন, তার শ্বশুর সৈয়দ হোসেন পাশের শ্রীপুরের মাওনার মাস্টারবাড়ি একটি বেসরকারি কারখানার গার্ডের চাকরি করতেন।

প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর বেপরোয়া আচরণে তার সংসারে অশান্তি নেমে আসে। কয়েক মাস না যেতেই দ্বিতীয় স্ত্রী তার টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাগলা থানায় একটি মামলা করেন সৈয়দ হোসেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের খবরে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি বিল পাড়ে তাকে বিষপান অবস্থায় অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দ্রুত গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পাগলা থানার এসআই লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। তবে তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement