২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অপপ্রচার বন্ধ না হলে আইনি ব্যবস্থা : মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করে সরকার বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অপপ্রচার বন্ধ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি। সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করে বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে জঘন্যরকমের অপপ্রচারে সরকার মেতে উঠেছে। এটা করতে গিয়ে তারা সরকারি অর্থ ব্যয় করে সোস্যাল মিডিয়া, দেশের প্রিন্টিং মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করছে। সরকারি দল ও মন্ত্রীরা জঘন্য মিথ্যাচার শুরু করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত রোববার বিভিন্ন পত্রিকায় একটা সিন্ডিকেটেড নিউজ ছাপানো হয়েছে যে, পাকিস্তানের দূতাবাসের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি এবং তথাকথিত আইএসআইয়ের সঙ্গে লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বৈঠক করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটা বলেছেন। ওবায়দুল কাদেরের মতো একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মতো দলের সাধারণ সম্পাদকের মুখ দিয়ে এই ধরনে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন জঘন্য মিথ্যাচার হয় সেটা শুধু অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নয় এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রতি জঘন্য আঘাত বলে আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও প্রতিবাদ করছি। আমি খুব দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে এই ধরনের কোনো বৈঠক কখনোই আমাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়নি এবং লন্ডনেও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কোনো সংস্থার সাথে কোনো রকমের বৈঠক হয়নি। এটা শুধু বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং এটা জঘন্য মিথ্যাচার। আমরা এহেন বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ছাড়াও গ্রেফতার হওয়ার অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সমর্থিত সোশ্যাল মিডিয়ার এ্যাক্টিভিস্টদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করেছেন, আইসিটি অ্যাক্ট, ৫৭ ধারা করেছেন। এসব করতে গিয়ে তারা সমস্ত স্বাধীন চিন্তা, মুক্ত চিন্তা, বাক স্বাধীনতাকে হরণ করেছেন। তারা শীর্ষ নিউজসহ ৫৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এভাবে তারা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশকে রক্ষা করতে হলে মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের জানা মতে তিন শ’র উপরে আইডি খোলা হয়েছে তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, নোংরা ছবি, বানোয়াট গল্প প্রচার করা। সরকার নগ্নভাবে অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা নিকৃষ্টতম ফ্যাসিবাদ ছাড়া আর কিছুই না।
প্রধানমন্ত্রীর তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক আইডিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের একটি কার্টুন দেখিয়ে তিনি বলেন, কার্টুন দিতেই পারেন। সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক নেতাদের কার্টুন আসতেই পারে। যখন আওয়ামী লীগের নেতা, প্রধানমন্ত্রী অথবা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের কার্টুন দেয়া হয় তখন তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের মহিলা তাকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার একটা ছবি দেখেন। যখন আমি রাঙ্গামাটি যাচ্ছিলাম (গত বছর) সেই পথে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়, আমাদের গাড়ি ভেঙে দিয়ে আমার কাপড় ছিঁড়ে যায়, রক্তাক্ত হয়। তখন একটা ছবি আপনারা নিয়েছিলেন। এই ছবিটাই গত শনিবার আমাদের এখানে কিছু কিছু মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকরা বিক্ষোভ করছিলেন তাদের মধ্য দিয়ে আমি যাওয়ার সময়ে বেরিয়ে যাই। তখন ওই ছবি দিয়ে বলেছি সেদিন নাকি আমার এই অবস্থা হয়েছে! এই যে চরিত্র হনন করা এসব তাদের স্বভাবজাত। এদের বিরুদ্ধে কিন্তু মামলা হয় না।

তিনি বলেন, এখন আমরা মামলা শুরু করবো। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। দেখব সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন সময়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সরকারের দুর্নীতির ওপর পোস্ট দেয়ার অপরাধে গ্রেফতার হওয়া অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট লায়ন আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, কে এম হারুন, রেজোয়ানুল হক শোভন, ওয়াসীম ইফতেখার, রাজন ব্যাপারী, মো. ইভান, ফসিউল আলম, জাহিদ হাসান, ইকবাল চৌধুরী, সজীব পাইলট, মাহফুজুল হকসহ গ্রেফতার হওয়ার সোস্যাল মিডিয়ার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও অসমতল মাঠের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সবাইকে সাথে নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। কিন্তু আজকে এই নির্বানচনে বানচাল করার জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে প্রতিমুহূর্তে। রিটার্নিং অফিসারেরা পর্যন্ত আমাদের নেতাদের মনোনয়ন বাতিল করে দিচ্ছেন। আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল