এত কিছুর পরও হাওলাদারেই ভরসা এরশাদের!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:০৮
মাত্র পাঁচ দিন আগেই দলের মহাসচিব পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল রুহুল আমিন হাওলাদারকে। তার স্থলে মহাসচিব নিয়োগ দেয়া হয় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সরকারের আস্থাভাজন ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে।
রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপা। কিন্তু মাত্র পাঁচ দিনের মাথায়ই রুহুল আমিন হাওলাদারকে দলের চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত এক সাংগঠনিক নির্দেশে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নির্দেশে বলা হয়, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নির্দেশে আরো বলা হয়, রুহুল আমিন হাওলাদার পার্টির চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সার্বিক সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। তার পদমর্যাদা হবে পার্টির চেয়ারম্যানের পরে দ্বিতীয় স্থানে।
এদিকে ঋণখেলাপির অভিযোগে মনোনয়নও বাতিল হয়েছে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের। তবে বরিশাল-৬ আসনে তার স্ত্রী রত্না হাওলাদার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।
দলের চেয়ারম্যান এরশাদের অনেক অজানা বিষয়ই জানেন হাওলাদার। তাই ইচ্ছা না থাকলেও হাওলাদারকে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ধারণা যে এরশাদ চাইলেও হাওলাদারকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারবেন না। এরশাদের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন থেকেই হাওলাদার একান্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
দলটিতে দীর্ঘদিন ধরে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন হাওলাদার। এর আগেও হাওলাদারকে বাদ দিয়ে জিয়া উদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব নিয়োগ দেন এরশাদ। পরে আবারো তার পছন্দের ব্যক্তি রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে পুননিয়োগ দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা