২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপির সতর্কতা

প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপির সতর্কতা - ছবি : সংগ্রহ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০টি আসনের বিপরীতে প্রায় ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। বেশির ভাগ আসনেই দুই-তিনজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। 
গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ভেতর থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, শিগগিরই মনোনয়নের চিঠি দেয়া হবে। এরপর বেলা পৌনে ১টার দিকে দলের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেয়া শুরু হয়। 

গত সোমবার রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের আংশিক আসনের দলের প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হয়। গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং সাংগঠনিক বিভাগ ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ আসনের প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হয়। যদিও মনোনয়নের চিঠি পেতে গতকাল সকাল ৯টা থেকেই গুলশানের কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকরা নিজ নিজ নেতার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের কোনো ধরনের স্লোগান না দিতে অনুরোধ জানানো হয়।

জানা যায়, মনোনয়নবোর্ডে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে পরামর্শক্রমে প্রার্থী চূড়ান্ত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কৌশলগত কারণে প্রায় প্রতিটি আসনে ডাবল প্রার্থী রাখা হয়েছে। বিকল্প প্রার্থীদের বেশির ভাগই তরুণ। মনোনয়নের প্রাথমিক প্রত্যয়নপত্র পেয়ে এরা দারুণ খুশি। আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই চূড়ান্তভাবে দল থেকে জানিয়ে দেয়া হবে কে ধানের শীষের প্রার্থী। 

গতকাল যারা মনোনয়নপত্র নিয়েছেনÑ খন্দকার আবু আশফাক, ফাহিমা হোসেন জুবলি (ঢাকা-১), আমান উল্লাহ আমান, সাবেরা আমান (ঢাকা-২), গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নিপুণ রায় চৌধুরী (ঢাকা-৩), সালাহউদ্দিন আহমেদ, তানভীর আহমেদ রবিন (ঢাকা-৪), নবী উল্লাহ নবী (ঢাকা- ৫), কাজী আবুল বাসার, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন (ঢাকা-৬), এম এ কাইয়ূম, শামীম আরা বেগম (ঢাকা-১১), সাইফুল ইসলাম নীরব, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার (ঢাকা- ১২), আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী (ঢাকা-১৩), এম এ সিদ্দিকী সাজু (ঢাকা-১৪), আহসান উল্লাহ হাসান, মোয়াজ্জেম হোসেন (ঢাকা-১৬), মেজর জেনারেল (অব:) রুহুল আলম চৌধুরী, ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, (ঢাকা-১৭), বাহাউদ্দিন সাদী, এস এম জাহাঙ্গীর (ঢাকা- ১৮), দেওয়ান সালাউদ্দিন আহমেদ (ঢাকা- ১৯), ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান (ঢাকা-২০)।

চুয়াডাঙ্গা-১ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল, কিশোরগঞ্জ-৬ মো: শরীফুল আলম, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৈমুর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ মাহমুদুর রহমান সুমন ও নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে খন্দকার আবু জাফর ও আজাহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ মামুন মাহমুদ ও মোহাম্মদ শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তার ও শেখ মোহাম্মদ শামীম, কুমিল্লা-৩ আসনে অধ্যাপক শাহিদা রফিক, কুমিল্লা-৫ আসনে অধ্যাপক মো: ইউনূস, কুমিল্লা-৬ আসনে হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা-৯ আসনে আনোয়ারুল আজিম, কুমিল্লা-১০ আসনে মোবাশ্বের আলম ভুইয়া, ফেনী-৩ আব্দুল লতিফ জনি, নেত্রকোনা-১ আসনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মুন্সীগঞ্জ-১ সরাফত আলী সপু, নেত্রকোনা-২ আসনে আশরাফ উদ্দীন খান ও এ টি এম আবদুল বারি, নেত্রকোনা-৫ আসনে আবু তাহের তালুকদার ও রাবেয়া খাতুন, ফরিদপুর-১ আসনে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ আসনে শামা ওবায়েদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর-৪ আসনে শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, শরীয়তপুর-৩ আসনে মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপু, ময়মনসিংহ-১০ আসনে আকতারুজ্জামান বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ-২ আসনে আবুল বাশার আকন্দ, জামালপুর-১ আসনে রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও আবদুল কাইয়ুম, জামালপুর-২ আসনে সুলতান মাহমুদ বাবু, জামালপুর-৩ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে রেজাউল করিম, কুষ্টিয়া-৪ আসনে মেহেদী আহম্মেদ রুমি ও নূরুল ইসলাম আনসার, চট্টগ্রাম-১২ আসনে এনামুল হক, কুষ্টিয়া-৪ আসনে নূরুল ইসলাম, সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদির লুনা, কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজা আহম্মেদ, নেত্রকোনা-৩ আসনে রফিকুল ইসলাম হেলালী, টাঙ্গাইল-৩ আসনে জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো: মাইনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৪ আসনে লুৎফুর রহমান মতিন, চট্টগ্রাম-১ আসনে কামাল দ্দন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে তৌফিকুল ইসলাম, জামালপুর-৫ আসনে শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন ও সিরাজুল হক, নড়াইল-২ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, চট্টগ্রাম-১ আসনে কামাল উদ্দীন আহমেদ, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও নুরুল আমিন, যশোর-৪ আসনে সুকৃতি কুমার মণ্ডল, নরসিংদী-১ আসনে খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-৩ আসনে মোহাম্মদ আকরামুল হাসান, নরসিংদী-৫ আসনে মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ও এ কে নেছার উদ্দিন, চাঁদপুর-৫ আসনে এম এ মতিন ও ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, চাঁদপুর-৩ আসনে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সিলেট- ১ আসনে খন্দকার আবদুল মোক্তাদীর, সিলেট-৩ আসনে শরীফ আহমেদ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ রফিক শিকদার। 

সংস্কারপন্থী ১৩ জনকে মনোনয়ন : ১/১১-এর সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি এমন ১৩ জনকে বিভিন্ন আসনের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে বিএনপি। এরা হলেনÑ আবু হেনা রাজশাহী-৪, আলমগীর কবির নওগাঁ-৬, জহিরউদ্দিন স্বপন বরিশাল-১, সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল নরসিংদী-৪, শহীদুল হক জামাল বরিশাল-২, শহিদুল হক তালুদার পটুয়াখালী-২, আতাউর রহমান আঙ্গুর, নারায়ণগঞ্জ-৫, ইলেন ভুট্টো ঝালকাঠি-২, নাজির হোসেন সুনামগঞ্জ-২, জিয়াউল হক মোল্লা বগুড়া-৪, জি এম সিরাজ বগুড়া-৫, মফিকুল হাসান তৃপ্তি যশোর-১, আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান জয়পুরহাট-২। এদের মধ্যে মফিকুল হাসান তৃপ্তিসহ কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ২০০৭ সালে আবু ইউসুফ মো: খলিলুর রহমান বিএনপি থেকে কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। ১/১১-এর পর থেকে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ওইসব সাবেক এমপি কোনো দলে যোগ দেননি, নিষ্ক্রিয় ছিলেন। গত ২৫ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংস্কারপন্থী এমন ১১ জন সাবেক এমপি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে দেখা করেন। এরপর তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে তারা সক্রিয় হয়ে উঠেন।

এ দিকে বিএনপির মরহুম নেতাদের স্ত্রী-সন্তানেরাও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের অন্যতম মৌলভীবাজার-৩ আসনে সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমানের ছেলে এম নাসের রহমান, যশোর-১ আসনে মরহুম তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু, গাজীপুর-৩ আসনে প্রয়াত আসম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, মানিকগঞ্জ-১ মরহুম শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মাইনুল ইসলাম শান্ত প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়ে প্রত্যায়নে চিঠি পেয়েছেন। মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মরহুম হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা, নওগাঁ-৩ আসনে সাবেক ডেপুটি স্পিকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ হামিদ সিদ্দিকী, জয়পুরহাট-১ আসনে মরহুম মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে মাসুদ রানা অথবা মরহুম আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সল আলীম, চাঁদপুর-২ আসনে মরহুম নূরুল হুদার ছেলে তানভীর হুদা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৫ আসনে মরহুম কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী নাজমুল হোসেন তাপস মনোনয়ন পেয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত

সকল