২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে উচ্চ আদালতের নিষেধ রয়েছে : কাদের

ওবায়দুল কাদের - ছবি : সংগৃহীত

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে উচ্চ আদালতের বিধি নিষেধ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদেশে বসে তারেক রহমানের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ উচ্চ আদালতের প্রচলিত রায়ের সুস্পষ্ট লংঘন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ন্যায়সঙ্গত বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তা না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচারের জন্য আদালতে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছেন। তিনি আদালতের দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার এ ধরনের কর্মকান্ড নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার লংঘন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা এতদিন দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে চিৎকার করে আসছিল, আর এখন তারাই নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নামে সারাদেশের দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দলীয় সন্ত্রাসীদের রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ে একত্রিত করেছে। তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিনা উস্কানীতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
কাদের বলেন, ‘ আমরা চাই নির্বাচন হোক। আমরা সরকারি দল। আমাদের দায় দায়িত্ব অনেক বেশি। কিছু বিষয়ে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাউকে দলীয় মনোনয়নের নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে গণমাধ্যমে যে সকল খবর প্রকাশ হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাদের গ্রেফতার করেছে বা করছে তাদের কেউই নিরপরাধ নয়। সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করেছে। কোনো নিরপরাধ মানুষ ভিকটিম হচ্ছে না।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী কোন না কোনো অপরাধে জড়িত ছিল। আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, সরকারি স্থাপনায় হামলা, ট্রেনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতার সঙ্গে তারা জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে সরকারের কিছু করার নেই।


আরো সংবাদ



premium cement