২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিএমএইচে এরশাদের ভর্তি নিয়ে জাতীয় পার্টির বক্তব্য

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ - সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসুস্থতার খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে দলটি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এরশাদ সিএমএইচে ভর্তি হলে তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুটিন চেকআপের জন্য একদিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও ‘নাটকীয়’ অসুস্থতা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন এরশাদ। বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলে এরশাদও নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলে ভোটের আগে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে এরশাদকে র‌্যাব সিএমএইচে নিয়ে ভর্তি করায়। র‌্যাব তখন তার অসুস্থতার কথা বললেও জাতীয় পার্টির নেতারা দাবি করেন, তাদের চেয়ারম্যান অসুস্থ ছিলেন না। ওই নির্বাচনে হাসপাতালে থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এরশাদ। পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতও করা হয় তাকে। জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসন নিলে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ হন বিরোধীদলীয় নেতা।

পরে এরশাদ বলেছিলেন, হাসপাতালে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ‘সময় হলে’ সব কথা বলবেন তিনি। কিন্তু ৫ বছরেও তার মুখ থেকে কিছু বের হয়নি। তাই এবার সিএমএইচে যাওয়া নিয়েও নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় অসুস্থতার খবরটি ‘গুজব’ বলে নাকচ করে দিয়ে বলেন, স্যার (এরশাদ) রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। উনি নিয়মিতই যান। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, মেজর জেনারেল পদমর্যাদার চিকিৎসকরা স্যারের ট্রিটমেন্ট করছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন টেস্টের জন্য তাকে একদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। এ বছর নির্বাচনী প্রচার শুরুর পরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এরশাদ। তখনও তিনি সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।

এদিকে জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, এরশাদ সুস্থ রয়েছেন এবং বারিধারায় নিজের বাড়িতে রয়েছেন। গত শনিবার জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল এরশাদের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তা নিতে পারেননি। পরে তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার সকালে দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে জাতীয় পার্টি। এবার এরশাদ রংপুর-৩, সাতক্ষীরা-৪ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপি ভোটে আসায় জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে মহাজোটের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জানালেও এরশাদ এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি।

ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন পত্র নিলেন এরশাদ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে জাতীয় পার্টি। দুপুরে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় সহকারি রিটানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে এরশাদের পক্ষে মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী।

এসময় জাতীয় পার্টি বনানী থানা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, ভাসানটেক থানা সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, ক্যান্টনমেন্ট থানা সভাপতি ইব্রাহিম খান, গুলশান থানা সাধারন সম্পাদক আবদুস সাত্তার, বনানী থানার সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান, বনানী থানা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মারজান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ফয়সল চিশতী সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনীতিবিদ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে তিনি প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অতীতের তুলনায় আরও অধিক ভোটের ব্যবধানে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ফলে এই আসনে এরশাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসএম ফয়সল চিশতী বলেন, ২০ নভেম্বর সকাল থেকে গুলশান-১ এর ইমানুয়েল কনভেনশন মিলনায়তনে পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করবেন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ড।

নয়া দিগন্তের সর্বশেষ খবর আপনার ফেসবুকে পেতে নিচের পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।

https://www.facebook.com/nayadigantadmcl


আরো সংবাদ



premium cement