১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঐক্যফ্রন্টের কে কোথায় নির্বাচন করবে, তালিকা হচ্ছে

ঐক্যফ্রন্টের কে কোথায় নির্বাচন করবে, তালিকা হচ্ছে - নয়া দিগন্ত

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বুধবার দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।  বৈঠকে আসন বন্টন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই ফ্রন্টভূক্ত দলগুলো কে কোথায় নির্বাচন করবে, তার ফায়সালা করা হবে। এজন্য প্রতিটি দল থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি নিয়ে সম্ভাব্য প্রত্যাশীদের তালিকা নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসবেন ফ্রন্টের নেতারা।

বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে দুপুর ১২টায় বৈঠক শুরু হয়। চলে দেড় ঘন্টা। ড. কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির আসম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান খোকা, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, মুকাব্বির খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহেদ উর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর ফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা যতগুলো দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছি আমরা সকলে একটি কমন প্রতীকে নির্বাচন করবো। সেই কমন প্রতীক হবে ধানের শীষ।

নয়া পল্টনের সামনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে মান্না বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, সরকার যেকোনো ভাবে বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে না পারে তার জন্যে সব রকমের উস্কানি দিচ্ছে। আমরা এই উস্কানি প্রতিরোধ করবো।

তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য্য ধরব। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সব ধরনের বাঁধা উপেক্ষা করে আমরা নির্বাচন করব। এই নির্বাচনে একটা ভোট বিপ্লব হবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে- এটা আমাদের বিশ্বাস মানুষের মধ্যে যে সাড়া দেখতে পারছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে আসন বন্টন হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মান্না বলেন, আমরা একটা যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের সবার মার্কা হবে ধানের শীষ।

ফ্রন্ট বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে তার এতো দুশ্চিন্তা করবার কিছু নেই। আমরা ভোটের ফলাফল দেখার পর নিজেরাই ঠিক করে নিতে পারবো কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।

বিএনপির নয়া পল্টনের কার্যালয়ে সহিংসতার সমালোচনা করে মান্না বলেন, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে পুলিশের দুইটি গাড়ি ভাঙা এবং ওইখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তার পেছনে সরকারি দলের লোকজনের হাত আছে। অসমর্থিত কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য খবরে প্রকাশ যে, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের হেলমেট পরে ওই যে কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময়ে হেলমেট বাহিনীকে দেখেছিলাম, সেই হেলমেট বাহিনী সেখানে তৎপর ছিলো। আমরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি।


আরো সংবাদ



premium cement