রাস্তায় শুয়ে-বসে হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা বিএনপি কর্মীদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:০৪
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্তের পর হঠাৎ করেই উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল বিএনপি শিবিরে। গত সোম ও মঙ্গল এই দুইদিন সেই আমেজ নিয়েই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফরম কিনতে এসেছিল দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। কিন্তু রোববার হঠাৎ করেই উৎসবে যোগ হয় গুলির আওয়াজ। মূহুর্তেই পুরো নয়া পল্টনে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। এদিকে-সেদিক ছুটতে শুরু করে মানুষ।
ঠিক এই অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে-বসে হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছে বিএনপি কর্মীরা। যা প্রমাণ করে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষায় তারা কতটা নিবেদিত।
পুলিশের সামনে দাড়িয়ে শরীরের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে; বলেছে আমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে এখানে আসিনি।
এই ঘটনাকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, এই সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সরকার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা একটি চক্রান্ত। আমরা নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে নমিনেশন নেওয়ার জন্য তাদের লোকজন ভিড় করেছে, তখন কিছু করেনি।’
উসকানি দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কালকে (মঙ্গলবার) হঠাৎ করে চিঠি দিল। এই চিঠি দিয়ে আজকে পুলিশের অ্যাকশন। প্রভোকেশন (উসকানি) করে নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।’
বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের ছোড়া প্যালেট বুলেটে (ছররা গুলির মতো) বিএনপির কমপক্ষে ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। পুলিশ রাস্তায় তাঁদের দাঁড়াতে দিচ্ছিল না। বেলা পৌনে একটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বড় একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা-৮ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। ওই সময় কার্যালয়ের সামনে থেকে তার মিছিল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে কর্মী-সমর্থকেরা সরে না যাওয়ায় একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ি মিছিলের ওপর উঠে যায়।