২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় যাচ্ছেন কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। -

সিলেট ও চট্টগ্রামে সফল জনসভা করার পর ঢাকায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনসভার আয়োজন করছে। আজকের এই জনসভা থেকে সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী দিনের কর্মসূচি ও নতুন বার্তা দেবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোট।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভা শুরু হবে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আর প্রধান আলোচক থাকবেন যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে আজকের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন সদ্য ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

এর আগে জনসভার অনুমতি নিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ২৪ শর্তে জনসভার অনুমতি দেয় পুলিশ।

অনুমতি পাওয়ার পরই গতকাল জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ দলটির নেতারা।

এ সময় আমানউল্লাহ আমান বলেন, জনসভায় রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা হবে এটি।

আজকের জনসভার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংলাপে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কর্মসূচি আজকের জনসভা থেকে দেবে না ঐক্যফ্রন্ট। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি, আশা করি চলমান সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’

 

আরো পড়ুন : মাহি বি চৌধুরীর সংসদে আসার দরকার নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৫ নভেম্বর ২০১৮

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ৩ নভেম্বর (ঐক্যফ্রন্টের) অনুষ্ঠানে বি চৌধুরীর যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি যোগ দেননি। কারণ তিনি ড. কামালকে সহ্য করতে পারেন না। তিনি ও তার দল দাম্ভিকতার সাথে এগুচ্ছে। মাহি বি চৌধুরীর সংসদে আসার দরকার নেই। কারণ দেশবাসী তাকে চায় না।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে কাদের সিদ্দিকীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ঐক্যফ্রন্টের যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। যোগ দেয়ার পর পরই বঙ্গবীর ছুটে যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলস্থ চেম্বারে। এসময় বঙ্গবীরকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ট উপহার এটি। আপনি বঙ্গবীর আমাদের মাঝে এসেছেন এটা অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।


ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার এক পর্যায়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশ সম্পর্কে উপরোল্লেখিত মন্তব্য করেন বঙ্গবীর। ঐক্যফ্রন্টে যোগদান উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে লড়াই, সংগ্রামের মাত্রা বেড়ে গেল। সমস্ত মেধা, শক্তি দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ও মুক্তির জন্য কাজ করব। বর্তমানে স্বৈরাচারের ভূমিকায় যারা আছেন তাদেরকে হটাতে পারব।

অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও মোহাম্মদ শাহজাহান ও গণফোরামের নেতাদের মধ্যে মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম শফিক উল্লাহ, মুকাব্বির খান, মোশতাক আহমেদ, এম শফিউর রহমান খান বাচ্চু এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে নাসরিন সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আমিনুল ইসলাম তারেক এবং ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও ছাত্রনেতাদের মধ্যে রুপু ও মোহাম্মদ উল্লাহ মধু উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন: নির্বাচন কমিশনকে যা বলেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা
তফসিল ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল এই অনুরোধ জানায়। বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এছাড়া ইসি সচিবও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিষয়টি।

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক। বিকেল ৪টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি (জেএসডি) আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য নির্বাচন কমিশনে যায়। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল পেছানো, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ইভিএম বাতিল এবং ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে সেখানে ইসির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা আলোচনা শুরু করেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনে কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রশ্ন তোলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মো. মনসুর। আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগের দিন পুলিশ বিরোধী দলের এজেন্টদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। ইসি কিছু করতে পারেনি। ফলে আপনাদের দিয়ে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে?


আরো সংবাদ



premium cement