২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংলাপের ফলাফল জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। - ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে যে সংলাপ চলছে, সেগুলো শেষ হলে সংলাপের ফলাফল জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংলাপের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা এ জন্য প্রথম থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটার ফলাফল কী, সেটা তো জানাতে হবে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন।’

কবে হতে পারে সেই সংবাদ সম্মেলন—এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেটা সংলাপ শেষে। ৭ নভেম্বর সংলাপ শেষ হবে। সম্ভবত ৮ বা ৯ নভেম্বর। সংলাপের ফলাফল কী দাঁড়াল, ফলাফল কী—সেটা সম্পর্কে সরকারের যে সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।’

আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

 

আরো পড়ুন : গণভবনে এরশাদের বিশাল দলে যারা থাকছেন

বিশেষ সংবাদদাতা, ০৫ নভেম্বর ২০১৮


সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে দলের ৩৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপ করতে আজ সোমবার গণভবনে যাবেন। আজ সোমবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপ শেষে রাতেই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে সংলাপ বিষয়ে ব্রিফ করবেন পার্টির শীর্ষ নেতারা।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের সাথে সংলাপে বসার পর অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আলোচনায় ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ধারাবাহিকতায় এরশাদের জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপ হচ্ছে আজ।


গতকাল রোববার রাতে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আজকের সংলাপে অংশগ্রহণকারী নেতাদের নামের তালিকা দেয়া হয়। তালিকা অনুযায়ী এরশাদের নেতৃত্বে সংলাপে যোগ দেবেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এম এ ছাত্তার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মজিবুল হক চুন্নু এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মসিউর রহমান রাঙা এমপি, আজম খান, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি ও নুরুল ইসলাম ওমর এমপি।

এছাড়া জোটের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান, মহাসচিব এমএ মতিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জালাল আহমেদ, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক এবং বিএনএ’র চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি।

যদিও আগেই প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত এরশাদ বলেছেন, সংলাপে তারা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনায় জোর দেবেন।

আরো পড়ুন: বুধবার সকালে ঐক্যফ্রন্টের সাথে সরকারের ফের সংলাপ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিসহ কয়েকটি দলের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে আগামী ই নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টায় আবারো সংলাপে বসবেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ রাতে বিবিসির কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের সাথে এই সংলাপ হবে সীমিত পরিসরে।


কারণ তাদের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষের অল্প সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে এই সংলাপ চাওয়া হয়েছিল।

এর আগে ১ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথম সংলাপে বসে সরকার। সেসময় গণভবনে তিন ঘন্টা দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে যা শেষ হয়েচিল কোন রকম সমঝোতা ছাড়াই।

সেই আলোচনার জের ধরে রোববার ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখে আবারো আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান।

চিঠিতে বলা হয়, পয়লা নভেম্বরের সংলাপের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

সেই সূত্র ধরেই পরবর্তী আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বরের পর আর সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

এদিকে, ঐক্যফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল ঘোষণা না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন আগামী আটই নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছে।

বিএনপি, গণফোরাম, জাসদের একাংশ এবং নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বেশ কয়েকটি দাবি।

 


আরো সংবাদ



premium cement